দণ্ডিতরা হলেন- দক্ষিণ জলদি গ্রামের মৃত নজির আহমদের ছেলে মো. শফি আলম, মৃত আহমদ আলীর ছেলে মো. কালু ও কবির আহমেদের ছেলে মো. আবুল হোসেন।
তিনজনের মধ্যে কালু পলাতক ও অন্য দু’জন গ্রেফতার হয়ে কারাগারে আছেন।
দণ্ডপ্রাপ্তদের আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের (মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের অনুমোদন) শুনানি শেষে মঙ্গলবার (০৭ নভেম্বর) বিচারপতি ভবানী প্রসাদ সিংহ ও বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
আসামিপক্ষে শুনানি করেন আব্দুল কাদের ভুঁইয়া ও মমতাজ বেগম।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো. বশির উল্লাহ, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মিয়া মো. শামীম আহসান ও নির্মল কুমার দাস।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো. বশির উল্লাহ বলেন, ১ নম্বর আসামি শফি আলম দীর্ঘদিন ধরে কারাগারে বন্দি রয়েছেন। এছাড়া ঘটনায় শুধুমাত্র ধর্ষণ সংঘটিত হয়েছে। এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে তাদের সাজা কমিয়ে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
২০০৫ সালের ১২ জুন দক্ষিণ জলদি গ্রামে ধর্মীয় অনুষ্ঠান চলছিলো। ওই নারীর স্বামীসহ পরিবারের লোকজন অনুষ্ঠানে ব্যস্ত ছিলেন। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ওই নারীও অনুষ্ঠানে যাচ্ছিলেন। এ সময় বাড়ির উত্তর পাশে আগে থেকে অবস্থান নেওয়া ওই তিন বখাটে তাকে একা পেয়ে নির্জন স্থানে নিয়ে ধর্ষণ করে।
এ ঘটনায় ওই নারী ২০০৫ সালের ১৪ জুন বাঁশখালী থানায় মামলা করেন। তদন্ত শেষে ২১ আগস্ট তিনজনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করে পুলিশ।
২০১৩ সালের ০৫ জুন তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরু করেন চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের (প্রথম) বিচারক মো. রেজাউল করিম।
২০১৫ সালের ০৫ জানুয়ারি গণধর্ষণের দায়ে ওই তিনজনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।
পরে হাইকোর্টে ডেথ রেফারেন্স পাঠানো হয়। গ্রেফতার হয়ে কারাগারে থাকা মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মো. শফি আলম ও মো. আবুল হোসেন জেল আপিল করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪২ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৭, ২০১৭
ইএস/জিপি/এএসআর