বৃহস্পতিবার (০৯ নভেম্বর) এ নাম উপস্থাপনের পর ২৬ নভেম্বরের মধ্যে কমিশন গঠনের অগ্রগতি প্রতিবেদন দিতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহ’র হাইকোর্ট বেঞ্চ।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল টাইটাস হিল্লোল রেমা।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, এ রুলের এক বিবাদী হচ্ছে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়। তারা তাদের পক্ষ থেকে মো. কামরুজ্জামানকে মনোনয়ন দিয়েছেন। এরপর হাইকোর্ট আগামী ২৬ নভেম্ববরের মধ্যে কমিশন গঠনের অগ্রগতি প্রতিবেদন দিতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে নির্দেশ দিয়েছেন।
গত ১৫ ফেব্রুয়ারি প্রকৃত ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজে বের করতে ‘ইনকোয়ারি অ্যাক্ট ১৯৬৫ (৩ ধারা)’ অনুসারে তদন্ত কমিটি বা কমিশন গঠনের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না এবং দোষীদের কেন বিচারের মুখোমুখি করা হবে না- তা জানতে চেয়ে স্বতঃপ্রণোদিত রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
দুই সপ্তাহের মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, স্বরাষ্ট্র, আইন ও যোগাযোগ সচিব এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যানকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
পাশাপাশি এ কমিটি বা কমিশন গঠনের বিষয়ে কি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে সে ব্যাপারে ৩০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিবকে নির্দেশ দেওয়া হয়।
গত ২০ মার্চ রুলের জবাব ও প্রতিবেদন দিতে আট সপ্তাহের সময় চেয়ে আবেদন জানান রাষ্ট্রপক্ষ। এ আবেদনের প্রেক্ষিতে ০৭ মে পর্যন্ত সময় বাড়িয়ে দেন হাইকোর্ট।
পরবর্তীতে কয়েকদফা সময়ের আবেদন জানান রাষ্ট্রপক্ষ। সর্বশেষ গত মাসেও সময় বাড়িয়েছিলেন হাইকোর্ট।
দৈনিক ইনকিলাবে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ‘ইউনূসের বিচার দাবি: আওয়ামী লীগ ও সমমনা দলগুলো একাট্টা’ শীর্ষক প্রকাশিত প্রতিবেদনসহ বিভিন্ন পত্রিকার সংবাদের কথা উল্লেখ করে এ রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৯, ২০১৭
ইএস/এএসআর