বুধবার (৩০ জানুয়ারি) মাগুরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক প্রণয় কুমার দাস এ দণ্ডাদেশ দেন। দণ্ডপ্রাপ্ত মাসুদ মহম্মদপুরের হরিণাডাঙ্গা গ্রামের সিরাজ মোল্যার ছেলে।
সরকারি কৌঁসুলিরা (পিপি) অ্যাডভোকেট আবু বক্কার বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ২০১০ সালের ১৩ অক্টোবর রাতে হরিণাডাঙ্গার ভিকটিমের ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে অস্ত্রের মুখে ধর্ষণ করে আসামি মাসুদ। প্রথমে বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসার চেষ্টা করে। পরে ওই মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে মাসুদ তাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্তু পরে এ বিষয়ে গড়িমসি করায় একই বছরের ৪ মে নির্যাতিতা মাগুরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ধর্ষণ মামলা করে। এরই মধ্যে একটি ছেলে সন্তানের জন্ম হয় মেয়েটি। যার পিতৃত্ব অস্বীকার করে আসামি মাসুদ। এ বিষয়ে ডিএনএ পরীক্ষার আদেশ দেন আদালত। ডিএনএ পরীক্ষায় মাসুদ মোল্যার বিরুদ্ধে ওই সন্তানের পিতৃত্বসহ মামলায় বর্ণিত অভিযোগ প্রমাণিত হয়।
মামলায় মোট ৮ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত। সন্তানের বিষয়ে ২১ বছর পর্যন্ত সরকারিভাবে জীবনযাপনের জন্য ব্যয় ভার বহন এবং দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মাসুদ মোল্যার বাবার পরিচয়ে সে বড় হবে মর্মে আদালত আদেশ দিয়েছেন বলেও জানান পিপি আবু বক্কার।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০১৯
জিপি