মঙ্গলবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-২ এর বিচারক মোহাম্মদ আবদুর রহিম আসামিদের উপস্থিতিতে এ দণ্ডাদেশ দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার লতিবাবাদ গ্রামের মৃত আবেদ আলীর ছেলে আক্কাছ মিয়া ও তারা মিয়া।
মামলায় খালাসপ্রাপ্তরা হলেন- কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার লতিবাবাদ গ্রামের সাকাউদ্দিনের ছেলে খায়রুল, একই এলাকার তারা মিয়ার ছেলে ইয়াছিন, মৃত আবেদ আলীর ছেলে মঞ্জিল মিয়া, মৃত তাহেরের ছেলে আঙ্গুর মিয়া, আক্কাছ মিয়ার স্ত্রী শাহানা ও আঙ্গুর মিয়ার স্ত্রী হোসনা আক্তার।
মামলার বিবরণ সূত্রে জানা যায়, কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার লতিবাবাদ গ্রামের বিএডিসির কর্মচারী আব্দুল খালেক সরকারের সঙ্গে আসামিদের জমি নিয়ে বিরোধ ছিল। এর জের ধরে ২০১২ সালের ৩০ জুন বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বাড়ির সামনে আব্দুল খালেক সরকারের ছেলে আসাদুর রহমানের সঙ্গে আক্কাছের বাকবিতণ্ডা হয়। এসময় আসাদুর রহমানের বাবা আব্দুল খালেক সরকার ও ছোট ভাই সাইদুর রহমান রাসেল আক্কাছকে বাধা দেন।
একপর্যায়ে আক্কাছ ও তার লোকজন লাঠি, শাবল ও রড দিয়ে আব্দুল খালেককে পিটিয়ে গুরুতর জখম করেন। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওইদিন সন্ধ্যায় তার মৃত্যু হয়।
এ ব্যাপারে নিহতের ছোট ছেলে অ্যাডভোকেট সাইদুর রহমান রাসেল বাদী হয়ে আটজনকে আসামি করে কিশোরগঞ্জ মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত শেষে ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি পুলিশ আট আসামির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দেন। মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় আদালত এ রায় দেন। বাকি ছয় আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
মামলাটি পরিচালনা করেন সরকারি কৌঁসুলিরা (পিপি) অ্যাডভোকেট শাহ আজিজুল হক ও সহকারী সরকারি কৌঁসুলিরা (এপিপি) অ্যাডভোকেট রাখাল দেবনাথ।
আসামি পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট এবিএম লুৎফর রাশিদ রানা।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৯
জিপি