ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আদালত

কাউখালীতে মানহানি মামলায় ৪ শিক্ষকের কারাদণ্ড

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০১৯
কাউখালীতে মানহানি মামলায় ৪ শিক্ষকের কারাদণ্ড

পিরোজপুর: পিরোজপুরের কাউখালীতে প্রাথমিক শিক্ষা  কর্মকর্তাকে মানহানির মামলায় ওই উপজেলার চার প্রাথমিক শিক্ষককে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। 

বুধবার (১৩ নভেম্বর) পিরোজপুর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৩ এর বিচারক মেহেদী হাসান এ রায় দেন।  

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- জেলার কাউখালী উপজেলার ১ নম্বর সয়না সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক উজ্জ্বল মিয়া, ৩৫ নম্বর কেশরতা সুজাগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক বাদল হালদার, ১৪ নম্বর মধ্য সোনাকুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শ্যামল হালদার ও ৩৭ নম্বর শংকরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল জলিল খান।

 

আদালত উজ্জ্বল মিয়াকে দেড় বছর ও অন্য তিন জনের প্রত্যেককে ছয় মাস করে কারাদণ্ড দিয়েছেন।  

জানা গেছে, দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে শিক্ষক উজ্জ্বল মিয়া একই ঘটনায় বিভাগীয় মামলায় সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর বিধি ৪ (৩) (ঘ) মোতাবেক চাকরি থেকে বরখাস্ত আছেন। একই অভিযোগে অন্য তিন জনের মধ্যে বাদল হালদার ও শ্যামল হালদার চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত আছেন এবং আব্দুল জলিল খান চাকরির ৫৯ বছর পূর্তি হওয়ায় বেতন-ভাতা না পেয়েই অবসরে আছেন।

বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আনোয়ার হোসেন তালুকদার স্বপন বাংলানিউজকে জানান, পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০০৯ সালের ৩ সেপ্টেম্বর তৎকালীন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার অফিস কক্ষে প্রবেশ করে প্রকাশ্য দিবালোকে জোরপূর্বক সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আমিনুল ইসলামের গলায় জুতার মালা পড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা চালান দণ্ডপ্রাপ্ত ওই চার শিক্ষক। এদের মধ্যে এ কাজের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন শিক্ষক উজ্জ্বল মিয়া। ওই সময় তারা নিজেরাই আবার এ ঘটনা নিজেদের ক্যামেরাম্যান দিয়ে ছবি তুলিয়ে সংবাদ মাধ্যমে সরবরাহ করেন। বিষয়টি নিয়ে বিভাগীয় তদন্তে ঘটনা প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় ২০০৯ সালে অভিযুক্ত ওই চার শিক্ষকের বিরুদ্ধে পৃথক পৃথক বিভাগীয় মামলা দায়েরসহ তাদের চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এছাড়া বিভাগীয় মামলার তদন্তে ওই চার জনের বিরুদ্ধেই অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় প্রত্যেককেই চাকরি থেকে চূড়ান্ত বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়।  

পরবর্তীকালে জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে ২০০৯ সালে পিরোজপুর জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দণ্ডবিধি ৫০০/৫০১ ধারায় একটি ফৌজদারি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার সাক্ষ্য-প্রমাণ শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত বুধবার এ রায় দেন।  

বাদী পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট আনোয়ার হোসেন তালুকদার স্বপন ও অ্যাডভোকেট দেলোয়ার হোসেন।

বাংলাদেশ সময়: ১০৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০১৯
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।