ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

আদালত

বুড়িগঙ্গায় ধাক্কা দেওয়া লঞ্চের সুপারভাইজার রিমান্ডে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০২ ঘণ্টা, জুলাই ৭, ২০২০
বুড়িগঙ্গায় ধাক্কা দেওয়া লঞ্চের সুপারভাইজার রিমান্ডে ছবি প্রতীকী

ঢাকা: বুড়িগঙ্গা নদীতে মর্নিংবার্ড লঞ্চডুবিতে ৩৪ জনের মৃত্যুর ঘটনায় দায়ী ময়ুর-২ লঞ্চের সুপারভাইজার আব্দুস সালামকে তিন দিনের জন্য রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (৭ জুলাই) ঢাকার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মিশকাত শুকরানা এই আদেশ দেন।

মঙ্গলবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সদরঘাট নৌ-পুলিশের উপ-পরিদর্শক শহীদুল আলম আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচদিনের রিমান্ডের আবেদন করেন।

পরে শুনানি শেষে বিচারক তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সিজেএম) আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর আনোয়ারুল কবীর বাবুল এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, আব্দুস সালাম এজাহারভুক্ত আসামি নন। তাকে এই মামলায় সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এমএল মর্নিংবার্ড নামের ওই যাত্রীবাহী লঞ্চটি গত ২৯ জুন সকালে মুন্সিগঞ্জের কাঠপট্টি থেকে সদরঘাটের দিকে আসছিল। শ্যামবাজারের কাছে বুড়িগঙ্গায় ময়ূর-২ নামের আরেকটি বড় লঞ্চের ধাক্কায় সেটি ডুবে যায়। এতে ৩৪ জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়।

এ ঘটনায় ৩০ জুন ময়ূর-২ লঞ্চের মালিক, মাস্টারসহ সাতজনকে আসামি করে কেরানীগঞ্জ দক্ষিণ থানায় নৌ-পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) শামছুল আলম দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানায় মামলাটি দায়ের করেন। এতে ময়ূর-২ লঞ্চের মালিক মোসাদ্দেক হানিফ সোয়াদ, মাস্টার আবুল বাশার, মাস্টার জাকির হোসেন, স্টাফ শিপন হাওলাদার, শাকিল হোসেন, হৃদয় ও সুকানি নাসির মৃধার নামোল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরও পাঁচ থেকে সাতজনকে আসামি করা হয়।

প্রাণহানির ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ২৮০, ৩০৪ (ক), ৩৩৭ ও ৩৪ ধারায় অবহেলাজনিত মৃত্যুসহ কয়েকটি অভিযোগ আনা হয়েছে। এই মামলায় এখনো পর্যন্ত এজাহারভুক্ত কোনো আসামি গ্রেফতার হননি। মামলাটি তদন্ত করছেন নৌ-পুলিশের এসআই শহিদুল আলম।

এ ঘটনার পর সদরঘাটের একটি সিসি ক্যামেরার ফুটেজও পরে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওটিতে দেখা যায়, পেছনে চলতে থাকা ময়ূর-২ এর ধাক্কায় ছোট আকারের মর্নিংবার্ডটি মুহূর্তের মধ্যে বুড়িগঙ্গায় তলিয়ে যায়।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৯ ঘণ্টা, জুলাই ০৭, ২০২০
কেআই/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।