টি-টোয়েন্টি সিরিজে হারলেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলেছিল শ্রীলঙ্কা। কিন্তু ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে পাত্তাই পেল না তারা।
টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নিমন্ত্রণ পেয়ে কিছুটা হতাশই ছিলেন ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মা। শিশিরের কারণে পরে ব্যাটিং করা সহজ হয়ে যায় ব্যাটারদের জন্য। কিন্তু স্কোরবোর্ডে ৩৭৩ রান জমা হওয়ার পর বোলারদের আর দুশ্চিন্তায় পড়তে হয়নি। ৫০ ওভার ব্যাটিং করলেও ৮ উইকেট হারিয়ে ৩০৬ রানের বেশি এগোতে পারেনি লঙ্কানরা। অধিনায়ক দাসুন শানাকার সেঞ্চুরি কেবল ব্যবধানই কমিয়েছে তাদের হয়ে।
৮৮ বলে ১২ চার ও ৩ ছক্কায় ১০৮ রানে অপরাজিত ছিলেন শানাকা। এছাড়া পাথুম নিসাঙ্কার ব্যাট থেকে আসে ৭২ রান। ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নেন উমরান মালিক। এদিন ভারতীয় হিসেবে দ্রুততম গতিতে (ঘণ্টায় ১৫৬ কিলোমিটার) বল ছোঁড়ার রেকর্ড গড়েন ডানহাতি এই পেসার।
এর আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৭ উইকেটে ৩৭৩ রান করে ভারত। উদ্বোধনী জুটিতেই আসে ১৪৩ রান। শানাকার বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ৭০ রান করে ফেরেন গিল। রোহিতেরও শতরান হয়নি। ৮৩ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি। এরপর কেবলই কোহলি শো। বাংলাদেশের বিপক্ষে গত ডিসেম্বরেই সবশেষ ম্যাচে সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি। সেই ফর্ম টেনে আনলেন নতুন বছরেও। দুইবার জীবন পেয়ে ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ৪৫ তম সেঞ্চুরিটা তুলে নেন এই ডানহাতি। ঘরের মাঠে এটি তার ২০তম। যা ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ। তালিকার চূড়ায় অবশ্য শচীন টেন্ডুলকারেরও নাম আছে। তবে শচীনের চেয়ে কম সময়ে ঘরের মাঠে নিজের ২০ তম সেঞ্চুরি করেছেন এই ডানহাতি। কোহলি যেখানে খরচ করেছেন ৯৯ ইনিংসে, সেখানে শচীনের লেগেছিল ১৬০ ইনিংস।
শ্রীলঙ্কার হয়ে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নিয়েছেন কসুন রাজিথা। সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে ১২ জানুয়ারি কলকাতায়।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০২৩
এএইচএস