ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

ক্রিকেট

জেতা ম্যাচ হেরে বিপিএল শেষ ঢাকার

স্পোর্টস ডেস্ক  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৭, ২০২৩
জেতা ম্যাচ হেরে বিপিএল শেষ ঢাকার ছবি: শোয়েব মিথুন

দুর্দান্ত বোলিংয়ে লক্ষ্যটা হাতের নাগালেই রেখেছিলেন বোলাররা। কিন্তু ব্যাটিং ব্যর্থতায় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের কাছে হেরে গেল ঢাকা ডমিনেটর্স।

দুই দলেরই আগেই বিদায় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। এবার আসর ছাড়ার আগে নিয়মরক্ষার ম্যাচটিতেও সান্ত্বনার জয় পেল না নাসিরবাহিনী।

বিপিএলের ৩৭তম ম্যাচে আজ মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে মাত্র ১১৮ রান তুলতে সক্ষম হয় চট্টগ্রাম। জবাবে ৯ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১০৩ তুলতে পারে ঢাকা। ফলে ১৫ রানে ম্যাচ জিতে নেয় চট্টগ্রাম।  

লক্ষ্য তাড়ায় নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় ঢাকা। ওপেনার আব্দুল্লাহ আল মামুন ফেরেন ২ রান করে। আরেক ওপেনার সৌম্য সরকার অবশ্য ভালো কিছুর ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন। তবে ১৬ বলে ৩ চারে ২১ রান করে ফেরেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। এরপর তিনে নামা আরিফুল হকের ব্যাট থেকে আসে ৭ রান। ৩৯ রান তুলতেই প্রথম ৩ উইকেট হারায় ঢাকা।

চাপের মুখে ঢাকার ইনিংসের হাল ধরেন নাসির হোসেন ও অ্যালেক্স ব্লেক। তবে তাদের রান তোলার গতি ছিল মন্থর। ব্লেক ১৩ বলে ১৩ রান করে ফিরলে ভাঙে এই জুটি। তবে জয় থেকে তখন খুব বেশি দূরে ছিল না ঢাকা। ২৫ বলে যখন মাত্র ৩১ রান দরকার, ওই সময় কুর্তিস ক্যাম্পারের বল নাসিরের ব্যাটের কানায় লেগে উপরে উঠে যায়। দৌড়ে বিপরীত দিক থেকে আসা বল ঝাঁপিয়ে দারুণ দক্ষতায় তালুবন্দি করেন মেহেদি মারুফ।  

শেষ ২৪ বলে মাত্র ৩১ রানের লক্ষ্য দাঁড়ায় ঢাকার সামনে। কিন্তু সাতে নেমে ব্যর্থ হয়ে ফেরেন আমির হামজা (১)। রানের গতিও যায় কমে। এরপর শেষ ১২ বলে ২৩ রান দরকার ছিল ঢাকার। মৃত্যুঞ্জয়ের করা ইনিংসের ১৯তম ওভারে লোয়ার অর্ডারে নামা শরিফুল ইসলাম (৩) ও শেষ স্বীকৃত ব্যাটার জাহিদুজ্জামান (১৮) ফিরে গেলে ম্যাচ থেকেই প্রায় ছিটকে যায় নাসিরের দল। শেষ ওভারে প্রয়োজনীয় ১৯ রান তোলা তো দূরের কথা, ২ রান সংগ্রহ করে আরও এক উইকেট হারিয়ে ফেলে ঢাকা।

বল হাতে ৩টি উইকেট নেন কুর্তিস এবং ২টি করে উইকেট গেছে মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী ও জিয়াউর রহমানের দখলে। এছাড়া ১টি করে উইকেট ঝুলিতে পুরেছেন শুভাগত হোম ও নিহাদুজ্জামান।

এর আগে টসে জিতে আগে ব্যাট করে আরাফাত সানির ঘূর্ণিতে মাত্র ২৮ রানেই ৫ উইকেট হারিয়েছিল শুভাগত হোমের দল। এরপর ৪১ রানের জুটি গড়েন উসমান খান ও কুর্তিস ক্যাম্ফার। উসমান খেলেন ২৯ বলে ৩০ রানের ইনিংস, আর কুর্তিস আউট হন ১১ রানে।

শেষ দিকে ২০ বলে অপরাজিত ৩৪ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে চট্টগ্রামের স্কোরটাকে ১১৮-তে নিয়ে যান জিয়াউর রহমান। তার ইনিংসে ছিল ২টি ছক্কা ও ৩টি চার। মাত্র ২২ রানে ৪টি উইকেট শিকার করেছেন আরাফাত সানি।

১২ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে ঢাকার অবস্থান টেবিলের পাঁচে। আর সমান পয়েন্ট নিয়ে ছয়ে আছে চট্টগ্রাম। তবে চট্টগ্রামের হাতে এখনও এক ম্যাচ বাকি আছে। সবার নিচে থাকা খুলনা টাইগার্স ১০ ম্যাচে সংগ্রহ করেছে মাত্র ৪ পয়েন্ট। এই তিন দলেরই বিদায় নিশ্চিত হয়ে গেছে। আর প্লে অফ নিশ্চিত হয়েছে- সিলেট স্ট্রাইকার্স, ফরচুন বরিশাল, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স এবং রংপুর রাইডার্সের।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০২৩
এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।