ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

এটি যেন অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন স্টেডিয়াম!

স্বপন চন্দ্র দাস, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫৮ ঘণ্টা, মার্চ ৯, ২০২৩
এটি যেন অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন স্টেডিয়াম!

সিরাজগঞ্জ: ঘাস কেটে গ্রাউন্ড সাজানো হয়েছে গ্রাফিক্সের মতো। উইকেটও তৈরি হয়েছে জাতীয়মানের।

মাঠের পূর্বদিকে বিশাল আকৃতির ইলেকট্রিক এলইডি স্কোরবোর্ড। অন্য দিকে বড় স্ক্রিনে দেখানো হচ্ছে লাইভ খেলাও। উইকেটে স্থাপন করা হয়েছে এলইডি স্ট্যাম্প। রয়েছে এলইডি ডিজিটাল ডিসপ্লে বোর্ড, লাইভ স্কোরিং, অনলাইন স্কোরিং ও সোশ্যাল মিডিয়ায় সরাসরি সম্প্রচারও। পর্দায় দেখে কেউ বলতেই পারবে না এটা মফস্বল শহরের কোনো স্টেডিয়াম।

এমনটাই সাজানো হয়েছে সিরাজগঞ্জের শহীদ শামসুদ্দিন স্টেডিয়ামকে। সিরাজগঞ্জ প্রিমিয়ার লীগের (এসপিএল) চতুর্থ আসরকে ঘিরেই এমন সাজে সাজানো হয়েছে। সব মিলিয়ে সিরাজগঞ্জ শহীদ শামসুদ্দিন স্টেডিয়ামকে দেখে মনে হয় যেন অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন মাঠ।  

গত ৬ মার্চ এসপিএল চতুর্থ আসর শুরু হয়েছে। এবারের আসরটি জমকালো করতে রাখা হয়েছে এমন আধুনিক সংযোজন। এবার টুর্নামেন্টে মোট ছয়টি দল অংশগ্রহণ করছে। আগামী ২২ মার্চ ফাইনাল খেলার মধ্য দিয়ে পর্দা নামবে এ টুর্নামেন্টের।

সিরাজগঞ্জ প্রিমিয়ার লীগের (এসপিএল) টেকনিক্যাল কমিটির প্রধান আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেন, ৩১ জানুয়ারি বগুড়া থেকে মাটি নিয়ে আসার পর মাঠ তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। সেই সঙ্গে একটি কিউরেটরও আনা হয়। ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আট জন শ্রমিক কাজ করে পিচটি তৈরি করেছেন। আর আয়োজকদের সঙ্গে পরামর্শ করে মেলবোর্নের মাঠের আদলে গ্রাউন্ড সাজানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মাত্র চারদিনে ১১ জন মিলে কাজ করে আমরা এই গ্রাফটা নির্মাণ করেছি।

জাতীয় অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দলের খেলোয়াড় আশরাফুল ইসলাম সিয়াম বলেন, অনেক লোকাল মাঠে খেলেছি। সিরাজগঞ্জের স্টেডিয়ামটা খুবই ডিফারেন্ট। ঢাকা লীগে যেসব মানের মাঠে খেলা হয়, এটিকে সে রকম করা হয়েছে। অনেক উন্নতি হয়েছে। পিচের কোয়ালিটি ঢাকা প্রিমিয়ার লীগের কোয়ালিটির মতো হয়েছে।

এসপিএল আগের আসরের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক নাজমুল ইসলাম কানন বলেন, এরকম একটি ছোট শহরে এতো বড় আয়োজন আমাদের অনুপ্রাণিত করেছে। সবকিছু মিলে এ আয়োজনে আন্তর্জাতিক একটা ছোঁয়া আছে।

সিরাজগঞ্জ স্টার ক্রিকেট দলের কোচ আল-আমিন বলেন, মাঠ ও পিচ খুবই সুন্দর। খেলা লাইভ সম্প্রচারের জন্য চার/পাঁচটা ক্যামেরা সেট করা হয়েছে। এ ধরণের আয়োজনে খেলোয়াড়দের উৎসাহিত করে। এ এসপিএল থেকেই হাবিবুর রহমান সোহান বিপিএলে খেলছেন।

একাধিক দর্শকদের সঙ্গে কথা বললে তারা বলেন, এসপিএল সিজন-৪ আগের চেয়ে অনেক ভিন্ন। ইলেকট্রিক স্কোরবোর্ড, লাইভ খেলা দেখানোসহ সবকিছুই দারুণ। মাঠটাও আন্তর্জাতিক মানের হয়েছে। খেলার মানও ভালো, বাইরে থেকে খেলোয়াড় আনা হচ্ছে। লাইভ স্কোর দেখানো হচ্ছে। আরও উন্নত হয়েছে। আমরা চাই আরও উন্নত হোক।  

সিরাজগঞ্জ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি গোলাম মোস্তফা সোহাগ বলেন, আমরা প্রত্যেকবার পূর্বের তুলনায় বেটার কিছু করার চেষ্টা করি। আন্তর্জাতিক খেলায় যে সরঞ্জামগুলো দেখে থাকেন এলইডি স্ট্যাম্প, ইলেকট্রিক স্কোরবোর্ড, মাঠের উইকেট ও গ্রাউন্ডগুলো আন্তর্জাতিক মানের করতে আমরা চেষ্টা করেছি।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫০ ঘণ্টা, মার্চ ০৯, ২০২৩
এসআইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।