ম্যাচ তো বটেই, সিরিজটাও আয়ারল্যান্ডকে জিততে হতো ৩-০ ব্যবধানে। কিন্তু প্রথম ম্যাচেই কপাল পুড়লো তাদের।
ইংল্যান্ডের চেমসফোর্ডে বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটি বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। প্রথমে ব্যাট করে বাংলাদেশ সব ওভার খেলে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৪৬ রান করেছিল। জবাব দিতে নেমে ১৬ ওভার ৩ বল খেলে ৩ উইকেট হারিয়ে ৬৫ রান করে আয়ারল্যান্ড। এরপরই বৃষ্টি নেমে আসে, কয়েক ঘণ্টা পরও সেটি না থামায় ম্যাচ পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে।
টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। কিন্তু গত কয়েক ম্যাচে যে উন্নতির ছাপ ছিল, এ ম্যাচে দেখা যায়নি তেমন কিছুই। ব্যাটাররা অনেকেই শুরু পেয়েও বড় করতে পারেননি। ছোট ছোট জুটি হলেও দল পায়নি বড় রান।
হতাশার শুরুটা হয় লিটন দাসকে দিয়ে, ইনিংসের একেবারে প্রথম বলেই। জশ লিটলের ইয়র্কার ডিফেন্ড করতে গিয়েও পারেননি লিটন, প্যাডে লাগার পর আউটের আবেদনে সাড়া দেন আম্পায়ার। কোনো রান না করেই সাজঘরের পথ ধরেন লিটন।
এরপর নাজমুল হোসেন শান্তকে নিয়ে তামিম ইকবালের কাঁধে ছিল ইনিংস গড়ার দায়িত্ব। বাংলাদেশ অধিনায়ক দুই বাউন্ডারিতে দিচ্ছিলেন খোলস ছেড়ে আসার বার্তাও। কিন্তু মার্ক অ্যাডাইয়ারের অনেক বাইরের বলে ব্যাট চালাতে যান তিনি।
আম্পায়ার শুরুতে আবেদনে সাড়া দেননি, কিন্তু পরে আয়ারল্যান্ড রিভিউ নিলে দেখা যায় তামিমের ব্যাটে লেগেই উইকেটরক্ষকের কাছে গেছে বল। অবিশ্বাস নিয়ে ১৯ বলে ১৪ রান করা তামিম পথ ধরেন সাজঘরের দিকে যাওয়ার।
এরপর ক্রিজে এসে সাকিব আল হাসান ব্যাট চালাচ্ছিলেন, তিনি স্ট্রাইক রোটেটও করছিলেন ভালোভাবেই। কিন্তু সাকিবও পারেননি প্রত্যাশা পূরণ করতে। গ্রাহাম হিউমের বলে এগিয়ে এসে লাইন মিস করে বোল্ড হন, এর আগে ২১ বলে ২০ রান করেন এই বাঁহাতি অলরাউন্ডার।
৫২ রানে তিন উইকেট হারানোর পর তাওহীদ হৃদয়ের সঙ্গে ৫০ রানের জুটি গড়েন নাজমুল হোসেন শান্ত। ৭ চারে ৬৬ বলে ৪৪ রান করে শান্ত আউট হলে ভাঙে এই জুটি।
হৃদয়ও নিজের ইনিংস বড় করতে পারেননি। গ্রাহাম হিউমের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেওয়ার আগে ৩১ বলে ২৭ রান করেন তিনি। পরের লড়াইটা ছিল মুশফিকুর রহিমের। মেহেদী হাসান মিরাজের সঙ্গে তার জুটি ছিল ৫৫ রানের। ৪ চারে ৩৪ বলে ২৭ রান করে সুইপ করতে গিয়ে টপ এজ হয়ে ক্যাচ দেন মিরাজ।
মুশফিকুর রহিম কিছুক্ষণ লড়েন তাইজুল ইসলামকে নিয়েও। কিন্তু তিনি ফেরেন জশ লিটলের বল তুলে মারতে গিয়ে। ক্যাচ আউট হয়ে ফেরার আগে মুশফিক ৬ চারে ৭০ বলে করেছেন ৬১ রান। শেষদিকে তাইজুল ইসলাম ৩৬ বলে ১৪ ও শরিফুল ইসলাম ১৫ বলে ১৬ রান করেন। ১০ ওভারে ৬১ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন লিটল। দুই উইকেট করে পান অ্যাডাইয়ার ও গ্রাহাম হিউম।
জবাব দিতে নেমে ২২ রানে প্রথম উইকেট হারায় আয়ারল্যান্ড। ২ চার ও ১ ছক্কায় ১০ বলে ১৫ রান করা পল স্টার্লিংকে ফেরান শরিফুল ইসলাম। এরপর আইরিশ অধিনায়ক অ্যান্ড্রু বালবার্নিকে দুর্দান্ত এক ডেলেভারিতে বোল্ড করেন হাসান মাহমুদ। ৯ বলে তিনি করেন পাঁচ রান।
বাংলাদেশের হয়ে তৃতীয় শিকার তাইজুল ইসলামের। ৩৯ বলে ১৭ রান করে স্টেফেন ডোহানির ক্যাচ নিজের বলে নিজেই নেন তিনি। এবাদত হোসেনের করা ১৬তম ওভারের মাঝেই বৃষ্টি নেমে আসে। তখন ৪ বলে ২ রান করে লরকান টাকার ও ৩৭ বলে ২১ রান করে হ্যারি টেক্টর অপরাজিত ছিলেন। কিন্তু বৃষ্টির কারণে খেলা আর পরে মাঠে ফেরেনি।
বাংলাদেশ সময়: ০০১২ ঘণ্টা, মে ১০, ২০২৩
এমএইচবি/আরইউ