এক বছর আগেও তার পরিচিতি ছিল না খুব বেশি। যারাও চিনতেন, বেশির ভাগই হয়তো মজা করতেন রিঙ্কু সিংকে নিয়ে।
৩৩ বলে ৬৭ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন রিঙ্কু। শেষ বলে ছক্কাও হাঁকান। তবু দলকে জেতাতে পারেননি তিনি। লক্ষ্মৌর দেওয়া ১৭৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শেষ দুই ওভারে কলকাতার প্রয়োজন ছিল ৪১ রান। সেখান থেকে দুই ওভারে ৩৯ রান হয়। ১ রানে হারে কলকাতা।
এ ম্যাচের পরে সাংবাদিকদের রিঙ্কু বলেন, ‘পাঁচ বলে ছয়ের কথা মাথায় ছিল। আমি খুব চিন্তিত ছিলাম না। ভেবেছিলাম যে আমি আমার মতো মারব। শেষ ওভারে আমাদের দরকার ছিল ২১ রান। আমি একটি বল মিস করেছি। না হলে আমরাই জিততাম। ’
নাভিন উল হকের করা ১৯তম ওভারে ২০ রান নেন রিঙ্কু। শেষ ওভারে যশ ঠাকুরের শেষ তিন বলে ২টি ছক্কা ও একটি চার মারেন। তবে কলকাতা নাইট রাইডার্সের ইনিংস শেষ হয় ৭ উইকেটে ১৭৫ রানে।
এ বছর আইপিএলের ১৪ ম্যাচে ৪৭৪ রান করেছেন রিঙ্কু। চারটি হাফসেঞ্চুরি রয়েছে তার। স্ট্রাইক রেট ১৪৯.৫৩ ও গড় ৫৯.২৫। তবে এমন পারফরম্যান্সের পরও রিঙ্কু অবশ্য এখনই ভারতের জাতীয় দলে খেলা নিয়ে খুব বেশি কিছু ভাবছেন না। এ নিয়ে তিনি চিন্তিতও নন।
রিঙ্কু বলেন, ‘যখন এই রকম ভালো মৌসুম কাটে, তখন সত্যিই খুব ভালো লাগে। আমি ভারতীয় দলে সুযোগ পাওয়া নিয়ে ভাবছি না। আমি যে ভাবে খেলছি, সেই ভাবেই কাজ খেলে যাব। ’
গুজরাট টাইটান্সের বিপক্ষে পেসার যশ দয়ালের বলে পরপর পাঁচটি ছক্কা মেরে কলকাতাকে জিতিয়েছিলেন রিঙ্কু। শেষ পাঁচ বলে ২৮ রানের প্রয়োজন ছিল। আর রিঙ্কু ৫ বলে ৩০ করেন। এরপর নিজের জীবন বদলে গেছে বলেই জানালেন রিঙ্কু।
তিনি বলেন, ‘পরিবার খুব খুশি। গত বছর থেকে মানুষ আমাকে চিনতে শুরু করেছে। কিন্তু যখন থেকে আমি পাঁচটি ছক্কা মেরেছি, তখন থেকে আমি অনেক সম্মান পাচ্ছি। আমাদের দলটা কিন্তু বেশ ভালো। তবে আমরা সব বিভাগেই কিছু ভুল করেছি ও প্লে-অফ ওঠার ক্ষেত্রে ভাগ্যও আমাদের সঙ্গ দেয়নি। ’
বাংলাদেশ সময় : ১২২৮ ঘণ্টা, ২১ মে, ২০২৩
এমএইচবি