আগের ইনিংসে দলকে নিয়ে লড়েছিলেন প্রায় একা। হাফ সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছিলেন, দলের রান নিয়ে গিয়েছিলেন দুইশ ছাড়িয়ে।
সিলেটের একাডেমি মাঠে তিনটি চারদিনের ম্যাচের দ্বিতীয়টিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ‘এ’ দলের মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ‘এ’ দল। বৃহস্পতিবার তৃতীয় দিন শেষে বাংলাদেশ ১৬৬ রানে এগিয়ে আছে। প্রথম ইনিংসে ২৩৭ রানে অলআউট হয় স্বাগতিকরা। জবাবে ৩৪৫ রান করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে এখন অবধি ৬ উইকেট হারিয়ে ২৭৪ রান করেছে।
৬ উইকেট হারিয়ে ২৬৮ রান নিয়ে তৃতীয় দিন শুরু করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আগের দিনের অপরাজিত দুই ব্যাটার জশুয়া ডা সিলভা ও সিনক্লেয়ার গড়েন বেশ ভালো জুটি। তাদের ৬৩ রানের জুটি ভাঙেন তানজিম হাসান সাকিব। ৩ চার ও ১ ছক্কায় ৬৩ বলে ৩২ রান করে সিনক্লেয়ার সাজঘরে ফেরত যান বোল্ড হয়ে।
এরপর দ্রুতই অলআউট হয়ে যায় সফরকারীরা। একপ্রান্ত আগলে রেখে ৩ চার ও ১ ছক্কায় ১১২ বলে ৪৭ রান করে অপরাজিত থাকেন জশুয়া। বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে চার উইকেট নেন তানজিম হাসান সাকিব, সাইফ হাসান পান দুই উইকেট।
দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা আশা জাগানিয়া ছিল বাংলাদেশের জন্য। ৩০ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়েন সাদমান ইসলাম ও জাকির হাসান। কিন্তু রেমন রেইফারের আউট সুইং ডেলিভারি জাকিরের ব্যাটের কানায় লেগে উইকেটরক্ষকের গ্লাভসে বল যায়। ২ চারে ১৫ বলে ১৩ রান করে ফেরেন জাকির।
এরপর ১৮ বলে ১৬ রান করে আকিম জর্ডানের বলে গালিতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন সাইফ হাসান। তার বিদায়ের পর নাঈম শেখের সঙ্গে ৫৬ রানের জুটি গড়েন সাদমান ইসলাম। কিন্তু ৪ চারে ৩৬ বলে ২৮ রান করে সিনক্লেয়ারের বলে নাঈম বোল্ড হলে এই জুটি ভাঙে।
তারপর শাহাদাৎ হোসেন দীপুর সঙ্গে দারুণ এক জুটি গড়েন সাদমান। কিন্তু নিজের ইনিংসটাকে খুব বেশি বড় করতে পারেননি তিনি। এই ব্যাটার ৭ চারে ১২৭ বলে ৭৪ রান করে আকিম জর্ডানের বলে এলবিডব্লিউ হন। ৯ বলে ৪ রান করে স্লিপে ক্যাচ দেন অধিনায়ক আফিফ হোসেন ধ্রুব।
এদিকে টানা দুই ইনিংসে হাফ সেঞ্চুরির দেখা পান দীপু। কিন্তু এরপর আর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি তিনি। ৭ চারে ৬৮ বলে ঠিক ৫০ রান করে সিনক্লেয়ারের বলে হন এলবিডব্লিউ। এরপর থেকে দলের ইনিংস টেনে নিচ্ছেন ইরফান শুক্কুর ও নাঈম হাসান। ১১ চারে ৮৫ বলে ৬৪ রান করে ইরফান ও ৩১ বলে ১৪ রান করা নাঈম শেষদিন শুরু করবেন।
বাংলাদেশ সময় : ১৮৪৩ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০২৩
এমএইচবি/এএইচএস