লিটন দাস প্রশ্নটা যেন বুঝলেন না ঠিকঠাক। অথবা বুঝলেও হলেন বিরক্ত।
প্রশ্নটা শুনে তিনি বলেন, ‘ঠিক বুঝলাম না, একটু বুঝিয়ে বলেন। দল যখন খেলে, এমন কি হয় যে জিততেই হবে, না জিতলে মান সম্মান চলে যাবে? এর ব্যাখ্যা আমার কাছে নেই। যে কোনো দলের বিপক্ষেই আপনি জেতার জন্যই যাবেন। ফলাফল হয়তো সবসময় আপনার হাতে আসবে না। ’
আফগানিস্তানের বিপক্ষে এখন অবধি একটিই টেস্ট খেলেছে বাংলাদেশ। ২০১৯ সালে ঘরের মাঠে ওই টেস্ট হারতে হয়। এখন অবধি ১৩৭ ম্যাচে খেলে বাংলাদেশ জিতেছে স্রেফ ১৭ ম্যাচে। এমন দলের অধিনায়কত্ব নেওয়া কি লিটনের জন্য চ্যালেঞ্জিং?
তিনি বলেন, ‘এটা তো আমি সবসময় করছি (অধিনায়ককে সাহায্য), ওরকম চ্যালেঞ্জ মনে হচ্ছে না। হ্যাঁ, একটা জিনিস বাড়তি, যেটা হচ্ছে মাঠে থাকলে মাঠ চালাতে হবে। এমন না যে এটাই আমার প্রথম, আমি করেছি আগে। এখন নামের প্রেক্ষাপটে চলে আসে অধিনায়কের বিষয়টা। এমনিতেও অনেক সাহায্য করি যখন উইকেটের পেছনে থাকি। তো এটা আমার কাছে বড় বিষয় নয়। ’
আগেরবার আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশ খেলেছিল স্পিন উইকেটে। দুই ইনিংসে ১১ উইকেট নিয়ে রশিদ খান অনেকটা একাই ধসিয়ে দিয়েছিলেন। এবার অবশ্য ঘাসের উইকেটের দিকে ঝোঁকার ইঙ্গিতই মিলিছে। লিটন বলছেন, এমন উইকেটের চ্যালেঞ্জ নিতে চান তারা।
তিনি বলেন, ‘অনেক দিন ধরেই মিরপুরে যখন খেলা হয়, ঘূর্ণি উইকেটেই বেশিরভাগ হয়। তো আমাদের চ্যালেঞ্জ এটাই আমরা ঘাসের উইকেটে কীভাবে ভালো খেলি৷ এটাই এখন বিষয়- আমরা এখানে কীভাবে টিকে থাকতে পারি, বড় ইনিংস খেলতে পারি। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৪ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০২৩
এমএইচবি/এমএইচএম