ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

আফগানদের ফলো অন শঙ্কায় রেখে চা বিরতিতে বাংলাদেশ

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪৭ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০২৩
আফগানদের ফলো অন শঙ্কায় রেখে চা বিরতিতে বাংলাদেশ

সকালে আফগানিস্তানের বোলাররা করলেন দারুণ কিছু। কেবল ২০ রান তুলতেই বাংলাদেশকে অলআউট করে তারা।

এরপর ব্যাটিংয়ে নেমে আফগানরা করতে পারলো না তেমন কিছুই। শুরুতে এবাদত হোসেন-শরিফুল ইসলামদের পেস ও পরে স্পিনারদের সামনে তারা থাকলেন অসহায়। ফলো অনের শঙ্কায় থেকেই চা বিরতিতে গেছে সফরকারীরা।  

মিরপুরের শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে একমাত্র টেস্টে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ-আফগানিস্তান। দ্বিতীয় দিনের চা বিরতি অবধি স্বাগতিকদের চেয়ে আফগানিস্তান পিছিয়ে আছে ২৩৮ রানে। প্রথম ইনিংসে ৩৮২ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে এখন অবধি ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪৪ রান করেছে আফগানরা।  

৫ উইকেট হারিয়ে ৩৬২ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিন শুরু করে বাংলাদেশ। মুশফিকুর রহিম ও মেহেদী হাসান মিরাজ দুজনেই ছিলেন হাফ সেঞ্চুরির কাছাকাছি। কিন্তু কেউই করতে পারেননি সেটি।  

প্রথমে আউট হন মিরাজ। ৮ চারে ৮০ বলে ৪৮ রান করে আউট হন তিনি। ইয়ামিন আহমেদ জাইয়ের বলে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্ট অঞ্চলে আমির হামজা হোতাকের হাতে ক্যাচ তুলে দেন মিরাজ। এরপরের লড়াইটা ছিল মুশফিকুর রহিমের জন্য।  

কিন্তু এই ব্যাটারও পারেননি টিকে থাকতে। তার ব্যাটের কানায় লেগে বল স্লিপে গেলে আউট হয়ে যান নিজাত মাসুদের বলে। ৪ চারে ৭৬ বলে ৪৭ রান করে সাজঘরে ফেরত যান তিনি।  

মুশফিকের বিদায়ের পর বাংলাদেশের অলআউট হওয়া ছিল স্রেফ সময়ের ব্যাপার। টেল-এন্ডাররা বেশিক্ষণ থাকতেও পারেননি। ৭ বলে ২ রান করে তাসকিন আহমেদ ও ১১ বলে ৬ রান করে শরিফুল কিছুক্ষণ চেষ্টা করেন।

কিন্তু দ্বিতীয় দিনে ২০ রানের ভেতরই অলআউট হয়ে যায় স্বাগতিকরা। আফগানিস্তানের পক্ষে ১৬ ওভারে ২ মেডেনসহ ৭৯ রান দিয়ে পাঁচ উইকেট নেন মাসুদ। ১৬৭তম বোলার ও আফগানিস্তানের দ্বিতীয় বোলার হিসেবে অভিষেকেই ফাইফার নেওয়ার কীর্তি গড়েন তিনি।

নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ভালো করতে পারেনি আফগানিস্তান। শুরুতে ইবারিহম জাদরানের ক্যাচ অবশ্য ছেড়েছিলেন লিটন দাস। কিন্তু জীবন পেয়েও তিনি ক্রিজে থাকতে পারেননি বেশিক্ষণ। ১৭ বলে ৬ রান করে শরিফুল ইসলামের বলে উইকেটের পেছনে লিটনের হাতেই ক্যাচ দেন ইবরাহিম।  

আরেক উদ্বোধনী ব্যাটার আব্দুল মালিককে আউট করেন এবাদত হোসেন। তৃতীয় স্লিপে দাঁড়ানো জাকির হাসানের হাতে ক্যাচ দেওয়ার আগে ২১ বলে ১৭ রান আসে এই ব্যাটারের ব্যাট থেকে। রহমত শাহকেও ফেরান এবাদত। শর্ট বলে শট খেলতে গিয়ে মিডউইকেটে দাঁড়ানো তাসকিনের হাতে ক্যাচ দেন তিনি। ১৮ বলে করেন ৯ রান।  

আফগানিস্তানের অধিনায়ক হাশমাতুল্লাহ শহিদীকে আবার আউট করেন শরিফুল। ১৬ বলে ৯ রান করা এই ব্যাটারের ক্যাচ ঝাঁপিয়ে ধরেন মিরাজ। এরপর বেশ ভালো একটা জুটিই গড়েছিলেন নাসির জামাল ও আফসার জাজাই। এবার বাংলাদেশকে ব্রেক থ্রু এনে দেন মেহেদী হাসান মিরাজ।  

৬ চারে ৪৩ বলে ৩৫ রান করা নাসির জামালকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন তিনি। সঙ্গীর বিদায়ের পর জুটির আরেক কাণ্ডারি আফসারও টিকে থাকতে পারেননি। ৬ চারে ৪০ বলে ৩৬ রান করে এবাদতের বলে শরিফুলের হাতে ক্যাচ দেন তিনি। আমির হামজাকে আউট করে নিজের চতুর্থ শিকার করেন এবাদত।  

উইকেট পেয়েছেন তাইজুল ইসলামও। তিন বলে কোনো রান করার আগেই ইয়ামিন আহমেদজাই স্টাম্পিং হন। এখন আফগানদের হয়ে লড়ছেন করিম জানাত ও নিজাত মাসুদ। ৩৬ বলে ২১ রান করে জানাত ও ১১ বলে কোনো রান না করে অপরাজিত আছেন মাসুদ।  

বাংলাদেশ সময় : ১৪৪৫ ঘণ্টা, ১৫ জুন, ২০২৩
এমএইচবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।