এবাদত হোসেন প্রথম উইকেট পেয়েই দিয়েছিলেন স্যালুট। এরপর একে একে নিয়েছিলেন আরও তিন উইকেট।
নিয়ে আসেন দুই স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ ও তাইজুল ইসলামকে। তারা দুজন তিন ওভারে মধ্যেই আফগানদের শেষ দুই উইকেট নিয়ে নেন। কেন এবাদতকে বোলিংয়ে আনা হলো না? এর ব্যাখ্যা দ্বিতীয় দিনের সংবাদ সম্মেলনে এসে দিয়েছেন তিনি নিজেই। মূলত স্লো ওভার রেটে দুই ওভার পিছিয়ে থাকায় স্পিনারদের আনেন লিটন। না হলে জরিমানা গুণতে হতো তাকে ও দলের সবাইকে।
এ নিয়ে এবাদত বলেন, ‘যা পাইছি (উইকেট), আলহামদুল্লিলাহ। পাঁচ উইকেট হয়নি। জিনিসটা ছিল আমরা দুই ওভার পেছনে ছিলাম। অধিনায়ক আসলে চিন্তা করছিল, আমরা যদি পিছিয়ে থাকি, তাহলে জরিমানার একটা ব্যাপার থাকে। তখন বলছিল যে, আমি দুই পাশ থেকে দুই স্পিনারকে দিয়ে শুরু করব। চা বিরতির পরে। টিম ফ্যাক্ট। আমার কাছে মনে হয়েছে আমার ইন্ডিভিজুয়াল অ্যাচিভমেন্টের চেয়ে দলের বিষয়টা সবচেয়ে বড় জিনিস। ’
এবাদত চার উইকেট পেয়েছেন দারুণ বোলিং করে। এর পেছনে নিজের পরিকল্পনার কথাও জানান তিনি। টানা কয়েকটি বল সামনে করে ব্যাটারের মানসিকতা বদলে এরপর বাউন্সার করেন তিনি। তাতেই সফল হয়েছেন বলে জানান এবাদত।
তিনি বলেন, ‘আমি যে উইকেটগুলো পেয়েছি সেগুলো কিন্তু টানা বাউন্সার করার ফলে না। আমি দ্বিধায় ফেলেছি ব্যাটসম্যানকে সামনে বল ফেলে ফেলে। পরে সারপ্রাইজ বাউন্স দিয়ে। যে জিনিসটা হচ্ছে যে, ইনসুইং, আউটসুইং, বাউন্সার আগে ওভারে দুই তিনটা করতাম। ব্যাটসম্যানকে আস্তে আস্তে উইকেটে সেট করে দেন সারপ্রাইজ বাউন্স দিয়ে। ’
পেস বোলিং উইকেট নিয়ে খুশি এবাদত বলেন, ‘অবশ্যই দেখেন আমার দেখা বাংলাদেশে প্রথম এই রকম উইকেট আমরা পেয়েছে। সবচেয়ে বড় কথা যে, তিনটা ফাস্ট বোলার টেস্টে, এই রকম উইকেটে খেলা এটা আমাদের অনেক বড় একটা সৌভাগ্য। সো আমরা চেষ্টা করছি যে, ওদেরকে যত কম রানে আউট করা যায়। প্ল্যানিং করে। আসলে প্ল্যানটা এক্সিকিউট করতে পারছি। এটাই সবচেয়ে বড় জিনিস। ’
‘বাউন্স তো আমরা প্ল্যান থেকে কিছু করতে পারব না। বাউন্স তো উইকেট থেকে পেয়েছে। ওই জিনিসটাই। যেহেতু উইকেটে বাউন্স আছে-পেস আছে, সো আমরাই ওইটাই জাস্ট একটু রিফলেক্ট করার চেষ্টা করেছি। আমরা একটু ইউজ করছি, বাউন্স ও পেস জিনিসটা। আর ওরা ওই জিনিসটাই একটু স্ট্রাগল করে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৮ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০২৩
এমএইচবি/আরইউ