টানা দ্বিতীয় ম্যাচে রান তাড়া করে জিতল জিম্ববুয়ে। এবার দলটির বোলাররা ৩০০-এর বেশি রান খরচ করলেন।
২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের বাছাইয়ের ম্যাচে আজ নেদারল্যান্ডসকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে জিম্বাবুয়ে। হারারেতে আগে ব্যাট করে ৬ উইকেটে ৩১৫ রানের বড় সংগ্রহ পায় ডাচরা। জবাবে ৪ উইকেট হারালেও ৪০.৫ ওভারেই জয় তুলে নেয় জিম্বাবুয়ে। এর আগে নেপালের বিপক্ষে ২৯১ রানের লক্ষ্য ৩৫ বল হাতে রেখেই পেরিয়ে গিয়েছিল তারা।
৩১৬ রানের বড় লক্ষ্য তাড়া করে জিম্বাবুয়ের এমন সহজ জয়ের পেছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা অবশ্যই রাজার। নেদারল্যান্ডসের ব্যাটাররা যখন জিম্বাবুয়ের বোলারদের তুলোধোনা করছিলেন, তখন রাজা ছিলেন ব্যতিক্রম। রানও খরচ করেছেন কম, আবার প্রতিপক্ষের প্রথম ৫ উইকেটের ৪টিই নিজের ঝুলিতে পুরেছেন।
রাজা পরে ব্যাট হাতে খেলেছেন ৫৪ বলে ১০২ রানের ম্যাচ জেতানো ইনিংস। ৬ চারের বিপরীতে হাঁকিয়েছেন ৮টি ছক্কা। শেষ ছক্কাটি হাঁকিয়ে সেঞ্চুরি পূর্ণ করার পাশাপাশি দলের জয়ও নিশ্চিত করেন রাজা। তার এই সেঞ্চুরি আবার জিম্বাবুয়ের জার্সিতে ওয়ানডের সবচেয়ে দ্রুততমও। কিছুদিন আগেই ৭০ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন উইলিয়ামস। সেই রেকর্ড এখন রাজার দখলে।
তবে জিম্বাবুয়ের জয়ের ভিত্তি গড়ে দেন অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিন। অবশ্য ফিফটি ছোঁয়ার পর বিদায় নেন তিনি। এরপর আরেক ওপেনার জয়লর্ড গাম্বির সঙ্গে ৬২ রানের জুটি গড়েন শন উইলিয়ামস। গাম্বির ৪০ রান করে বিদায় নিলেও উইলিয়ামস ছুটছিলেন সেঞ্চুরির দিকে। মাঝে ওয়েসলি মাধেভেরে (১০) দ্রুত ফিরলে হাল ধরেন রাজা।
উইলিয়ামস অবশ্য শেষ পর্যন্ত থাকতে পারেননি। ৫৮ বলে ৯১ রান করে বিদায় নেন তিনি। জিম্বাবুয়ের স্কোর তখন ২৪৬/৪। বাকি পথটা রায়ান বার্লকে নিয়ে পাড়ি দেন রাজা। এ সময় ব্যাট হাতে প্রতিপক্ষের বোলারদের ওপর রীতিমতো তাণ্ডব চালিয়েছেন তিনি। বার্ল অপরাজিত থাকেন ১৬ রানে।
এর আগে নেদারল্যান্ডসও দারুণ শুরু পেয়েছিল। বিক্রমজিত সিং ও ম্যাক্স ও'ডাউডের উদ্বোধনী জুটিতেই আসে ১২০ রান। ম্যাক্স ও'ডাউড (৬৭)-কে বোল্ড করে এই জুটি ভাঙেন রাজা। এরপর ওয়েসলি বারেসি (৪)-কেও দ্রুত ফেরান রাজা; কিন্তু বিক্রমজিতকে নিয়ে ডাচ অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডস দারুণ এক জুটি গড়েন। ১০০ ছুঁইছুঁই জুটি গড়ার পর বিদায় নেন বিক্রমজিত, এর আগে খেলেন ১১১ বলে ৮৮ রানের ইনিংস।
মাঝে বাস ডি লিড (৪) এবং তেজা নিদামানুরু (১) ব্যর্থ হলেও এডওয়ার্ড ও সাকিব জুলফিকারের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায় ডাচরা। দলকে ৩০০-এর কাছাকাছি রেখে এনগারাভার বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন এডওয়ার্ড। তবে ততক্ষণে ৭২ বলে তার ব্যাট থেকে আসে ৮৩ রান। জুলফিকার শেষ পর্যন্ত ৩৪ রানে অপরাজিত থাকেন। জিম্বাবুয়ের পেসার এনগারাভা নেন ২ উইকেট।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৬ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০২৩
এমএইচএম