ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

অনেকে ভাবে আমি আগ্রাসী ক্রিকেট খেলি, আসলে এরকম নয়: তানজিদ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, স্পোর্টস | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০১ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০২৩
অনেকে ভাবে আমি আগ্রাসী ক্রিকেট খেলি, আসলে এরকম নয়: তানজিদ

সংবাদ সম্মেলনে এলেন হাসিমাখা মুখে। আসার পর অবশ্য তাকে অপেক্ষা করতে হলো কিছুক্ষণ।

‘সাউন্ড’ ঠিকঠাক করতে ‘হ্যালো’ বলার অনুরোধে দিলেন সালাম। এরপর প্রশ্ন ছুটে গেল একের পর, তানজিদ হাসান তামিম সামলালেন বেশ ভালোভাবেই।  

কিছুদিন আগেও তার জীবন ছিল অন্যরকম। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জেতার পর পাদপ্রদীপের আলো থেকে আড়ালেই চলে গিয়েছিলেন। ২০২২ সালের প্রিমিয়ার লিগে ৯ ম্যাচ খেলে ৮ ইনিংসে করেছেন মাত্র ১১৯ রান। ওই হতাশা কাটিয়ে ধীরে ধীরে আবারও এসেছেন আলোতে।  

এ বছর ডিপিএল দিয়েই ফেরার শুরু তানজিদের। ব্রাদার্স ইউনিয়নের হয়ে ১১ ম্যাচ খেলে ২টি সেঞ্চুরি, ১টি ফিফটিসহ ৯৩.৩০ স্ট্রাইক রেটে ৪৭৪ রান করেছেন তিনি। এরপর ইমার্জিং এশিয়া কাপে সুযোগ পেয়ে ১১৬.৯৯ স্ট্রাইক রেটে ৬ ম্যাচে ১৭৯ রান করেন তানজিদ। এবার সুযোগ পেলেন জাতীয় দলেও।

তানজিদের দলে সুযোগ পাওয়ার পেছনে আগ্রাসী ব্যাটিং একটা কারণ। এই উদ্বোধনী ব্যাটার অবশ্য বলছেন, তিনি তেমন নন । বরং সহজাত ব্যাটিংটাই করেন তিনি। সবসময় ইতিবাচক ক্রিকেট খেলাই তার শক্তির জায়গা।  

বৃহস্পতিবার মিরপুরে তিনি বলেন, ‘দেখুন আমি এসব চিন্তা করে ব্যাটিংয়ে নামি না। ব্যাক অব দ্য মাইন্ড এটাই থাকে যে ইতিবাচক ক্রিকেট খেলবো। অনেকেই বলে আমি অনেক আগ্রাসী ক্রিকেট খেলি। এরকম না। আমি শুধু স্বাভাবিক থাকার চেষ্টা করি। আমার শক্তির ওপর বিশ্বাস রাখার চেষ্টা করি। আমি নিজের শক্তিতে ও ইতিবাচক খেলায় বিশ্বাস রাখি। ’ 

‘আসলে দেখেন, প্রত্যেক ক্রিকেটারের জীবনে ভালো সময় খারাপ সময় আসবেই। এটা মেনে নিতে হবে। খারাপ সময়টা কীভাবে কাটিয়ে উঠবো সেই জিনিসটা আসল। চেষ্টা করেছি যে ওই সময় খারাপ সময়টা কীভাবে ওভারকাম করা যায়। বিভিন্ন কোচের সঙ্গে কথা বলেছি। আমার যেখানে ঘাটতি ছিল সেগুলো নিয়ে কাজ করেছি। আস্তে আস্তে এভাবেই রানে ফিরেছি। ’

এশিয়া কাপের স্কোয়াডে তানজিদের সুযোগ হয়েছে তামিম ইকবালের জায়গায়। এই উদ্বোধনী ব্যাটার আছেন পিঠের চোটে। সুযোগটা কাজে লাগাতে চান তানজিদ। কিন্তু তামিমের জায়গায় খেলার চাপও তো আছে? এমন প্রশ্নের উত্তরে তানজিদ বলছেন, ক্রিকেটটাই চাপের।  

তিনি বলেন, ‘প্রত্যাশার চাপের কথা- আমরা পেশাদার ক্রিকেট খেলি। এটা চাপেরই খেলা। খেলায় অনেক ধরনের পরিস্থিতি থাকে, জিনিসটা যত তাড়াতাড়ি মানিয়ে নিতে পারবো, তত তাড়াতাড়ি আমরা ভালো ক্রিকেট খেলতে পারবো। ’ 

‘নির্দিষ্ট কোনো কিছু নিয়ে কাজ করা হয় নাই। জাতীয় দলে আসার পর কোচ একবার বলেছে, তুমি এত দিন যেভাবে খেলে এসেছো, তোমার স্বাভাবিক খেলাটাই খেলবে। উনি (চন্ডিকা হাথুরুসিংহে) বলেছেন, তোমার যদি নিজ থেকে সমস্যা থাকে তখন আমার কাছে এসে কথা বলবে। উনি সবসময় একটু প্রশ্ন করতে পছন্দ করেন। তাহলে নিজের ভেতর থেকে সব কিছু আসে। তো এদিক থেকে বলব ভালো। আর সবাই চেষ্টা করছে সেরাটা দিয়ে প্রস্তুতি নেওয়ার। ’

বাংলাদেশ সময় : ১৭০০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০২৩
এমএইচবি/এএইচএস
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।