ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

ওয়ার্নার-ম্যাক্সওয়েল-জাম্পা নৈপুণ্যে অস্ট্রেলিয়ার রেকর্ড গড়া জয়

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০২৩
ওয়ার্নার-ম্যাক্সওয়েল-জাম্পা নৈপুণ্যে অস্ট্রেলিয়ার রেকর্ড গড়া জয়

ব্যাট হাতে উড়ছেন ডেভিড ওয়ার্নার। টানা দ্বিতীয় ম্যাচে তিনি পেলেন সেঞ্চুরি।

সঙ্গে গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের রেকর্ড গড়া শতকে পাহাড়সম সংগ্রহ পেল অস্ট্রেলিয়া। সেই পাহাড়ের নিচেই চাপা পড়ল নেদারল্যান্ডস। তাতে বিশাল এক জয়ে রেকর্ড গড়লো অস্ট্রেলিয়া।

অস্ট্রেলিয়ার এই ৩০৯ রানের জয় বিশ্বকাপের ইতিহাসে সবচেয়ে বড়। এর আগের রেকর্ডটিও তাদের। ২০১৫ বিশ্বকাপে পার্থে আফগানিস্তানের বিপক্ষে তাদের জয় ছিল ২৭৫ রানে। এদিন দিল্লির অরুন জেটলি স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ৩৯৯ রান সংগ্রহ করেছে দলটি। জবাব দিতে নেমে নেদারল্যান্ডস গুটিয়ে যায় ২১ ওভারে ৯০ রান করেই।

আগে ব্যাট করতে নামা অস্ট্রেলিয়া শুরুতেই হারায় মিচেল মার্শকে। ৯ রানে তার বিদায়ের পর ওপেনার ওয়ার্নারকে সঙ্গে দেন স্মিথ। দারুণ ব্যাট করে এক জুটি গড়েন ওয়ার্নার ও স্মিথ। ১১৮ বলে ১৩২ রানের জুটি গড়েন তারা। ৪০ বলে পঞ্চাশ পূর্ণ করেন ওয়ার্নার। স্মিথের লাগে ৫৩ বল। ৭১ রানে অজি এই ব্যাটারকে ফিরিয়ে জুটিটি ভেঙে দেন আরিয়ান দুত।  

স্মিথের বিদায়ের পর ওয়ার্নারকে সঙ্গে দেন লাবুশেন। ৮৪ রানের জুটি গড়েন তারা। ৪২ বলে পঞ্চাশ পূর্ণ করেন লাবুশেন। আরেক প্রান্তে লড়তে থাকা ওয়ার্নার অবশ্য পান সেঞ্চুরির দেখা; ৯১ বলে। কিছুক্ষণ পর বাস ডি লিডের বল উড়িয়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ আউট হয়ে বিদায় নেন লাবুশেন। ৪৭ বলে ৬২ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি। আর ওয়ার্নার ফেরেন ১০৪ রান করে। ৯২ বলে তার এই ইনিংসটি সাজানো ছিল ১১ চার ও ৩ ছক্কায়।  

এই জুটির বিদায়ের পর মাঝে ১৪ রান করে উইকেট হারান জস ইংলিস। পরের গল্পটা কেবলই ম্যাক্সওয়েলের। একপ্রান্তে তাণ্ডব চালিয়ে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তিনি। যেখানে প্রথম পঞ্চাশ পূর্ণ করেন ২৭ বলে; বাকি পঞ্চাশ করেন স্রেফ ১৩ বলে। বিশ্বকাপের ইতিহাসে এটাই সবচেয়ে দ্রুত শতক। এই তালিকায় দুইয়ে আছেন দক্ষিণ আফ্রিকার এইডেন মার্করাম। যিনি এই বিশ্বকাপেই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৪৯ বলে সেঞ্চুরি করেন।  

বিধ্বংসী সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে শেষ ওভারে গিয়ে থামেন ম্যাক্সওয়েল। ফন ডি ভিকের বল উড়িয়ে মারতে গিয়ে সীমানার কাছে ধরা পড়েন তিনি। ৪৪ বলে তার ১০৬ রানের ইনিংসটি সাজানো ছিল ৯ চার ও ৮ ছক্কায়। তাকে সঙ্গ দেওয়া কামিন্স শেষ পর্যন্ত ছিলেন মাঠে। ৯ বলে ১২ রান করে তিনি অপরাজিত থাকেন।  

নেদারল্যান্ডসের পক্ষে বাজে বোলিংয়ে লজ্জার রেকর্ড গড়েন জোড়া উইকেট পাওয়া বাস ডি লিড। ১০ ওভার খরচায় তিনি দেন ১১৫ রান। ওয়ানডে ইতিহাসে যেটি সর্বোচ্চ। সর্বোচ্চ ৪ উইকেট শিকার করা ফন বিকও অবশ্য কম রান দেননি। ৭৪ রান খরচ করেন তিনি।  

রান তাড়ায় খেলতে নেমে ডাচ ওপেনার বিক্রমজিত সিং করেন ২৫ রান। এটিই দলের হয়ে সর্বোচ্চ। বাকিদের মধ্যে দুই অঙ্ক ছুঁতে পেরেছেন কেবল চারজন। যেখানে কলিন অ্যাকরম্যান ১০, এঙ্গেলব্রেখট ১১, স্কট এডওয়ার্ডস ১২ ও নিদামানুরু করেন ১৪ রান। বাকিরা কেবল আসা-যাওয়ার মিছিলের মধ্যেই ছিলেন। যার ফলে অল্প রানেই গুটিয়ে যেতে হয় তাদের।

অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে ৩ ওভারে স্রেফ ৮ রান খরচায় ৪ উইকেট তুলে নেন অ্যাডাম জাম্পা। জোড়া উইকেট পান মিচেল মার্শ। বাকিরা শিকার করেন একটি করে উইকেট।  

বাংলাদেশ সময়: ২১২৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০২৩
আরইউ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।