ঢাকা, রবিবার, ৯ আষাঢ় ১৪৩১, ২৩ জুন ২০২৪, ১৫ জিলহজ ১৪৪৫

ক্রিকেট

মিলারের সেঞ্চুরিতে প্রোটিয়াদের লড়াকু সংগ্রহ

স্পোর্টস ডেস্ক  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০২৩
মিলারের সেঞ্চুরিতে প্রোটিয়াদের লড়াকু সংগ্রহ

ব্যাটিংয়ে যখন নামেন, দল তখন খাদের কিনারায়। হাইনরিখ ক্লাসেনকে নিয়ে সামাল দেন সেই চাপ।

তবে ক্লাসেনের বিদায়ে আবারও বিপাকে পড়ে প্রোটিয়ারা। কিন্তু একপ্রান্তে ঢাল হয়ে দাঁড়িয়ে যান ডেভিড মিলার। সেমিফাইনালের মঞ্চে দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে দলকে এনে দেন লড়াকু সংগ্রহ।

কলকাতার ইডেন গার্ডেনসে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২১২ রান তোলে দক্ষিণ আফ্রিকা। ইনিংসের শুরুটা ছিল অজি পেসারদের। মেঘলা কন্ডিশনের পুরো সুবিধা নিয়ে প্রোটিয়া ব্যাটারদের নাভিশ্বাস তুলেন তারা। ২৪ রান না যেতেই দক্ষিণ আফ্রিকা হারায় ৪ উইকেট।

প্রথম ওভারেই তার মুখে অজি অধিনায়ক প্যাট কামিন্সের মুখে হাসি ফোটান মিচেল স্টার্ক। বাঁহাতি এই পেসারের বলে খোঁচা মেরে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন প্রোটিয়া অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা। অফ ফর্মে থাকা এই ব্যাটার আজ রানের খাতাই খুলতে পারেননি।

বাভুমা না থাকলেও দারুণ ফর্মে ছিলেন কুইন্টন ডি কক। কিন্তু তাকেও ফিরতে হয় অল্পতে। জশ হ্যাজেলউডকে তুলে মারতে গিয়ে কামিন্সের হাতে ধরা পড়েন তিনি। ফেরেন মাত্র ৩ রান করে। ওপেনারদের কাছ থেকে দুঃস্বপ্নের শুরু পাওয়ার পর হাল ধরতে পারেননি এইডেন মারক্রাম ও রাসি ফন ডার ডুসেন। ইনিংসের ১১তম ওভারে স্টার্কের অফ স্টাম্পের বাইরের ডেলিভারি মারক্রামের ব্যাটের কানায় লেগে সোজা আশ্রয় নেয় পয়েন্টে থাকা ডেভিড ওয়ার্নারের হাতে। ২০ বল খেলে দুই চারে মাত্র ১০ রান করেন প্রোটিয়া সহ-অধিনায়ক। পরের ওভারেই হ্যাজেলউডের বলে স্লিপে স্টিভেন স্মিথের হাতে ধরা পড়েন ডুসেন। ৩১ বলে ৬ রান করেন তিনি।

মাত্র ২৪ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর হাইনরিখ ক্লাসেন ও ডেভিড মিলারের ব্যাটে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করে প্রোটিয়ারা। ইনিংসের ১৪তম ওভারে বৃষ্টির আঘাতে কিছুক্ষণ বন্ধ থাকে খেলা। কাভার সরানোর পর লড়াই চালিয়ে যান ক্লাসেন-মিলার।

থিতু হয়ে আগ্রাসী ব্যাটিং করতে থাকেন ক্লাসেন। কিন্তু ট্রাভিস হেডের জোড়া আঘাতে আবারও ম্যাচে ফেরে অস্ট্রেলিয়া। প্রথম ক্লাসেনকে (৪৭) বোল্ড করে ৯৫ রানের জুটি ভাঙেন হেড। পরের বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন মার্কো ইয়ানসেন।

বাকিটা পথ একাই লড়াই করে দক্ষিণ আফ্রিকাকে দুই শ পার করান মিলার। একইসঙ্গে ১১৫তম বলে কামিন্সকে ছক্কা মেরে স্পর্শ করেন ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ সেঞ্চুরি। কিন্তু পরের বলেই হেডকে ক্যাচ দিয়ে থেমে যেতে হয় তাকে। তার ১০১ রানের ইনিংসটি সাজানো ছিল ৮ চার ও ৫ ছক্কায়।

অস্ট্রেলিয়ার হয়ে কামিন্স ও স্টার্ক নেন সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট। এছাড়া দুটি করে শিকার হ্যাজেলউড ও হেডের।  

বাংলাদেশ সময় : ১৮৪৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০২৩
এএইচএস
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।