ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

এসেই রংপুরকে ম্যাচ জেতালেন বাবর আজম

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, স্পোর্টস | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০২৪
এসেই রংপুরকে ম্যাচ জেতালেন বাবর আজম

লম্বা ভ্রমণক্লান্তি। রাতে এসে খানিক বিশ্রামের পরই বাবর আজম নেমে পড়েছিলেন মাঠে।

তবুও দলের ভার একাই টেনে নিলেন তিনি। অল্প লক্ষ্যেও ধুঁকতে থাকা দলকে জেতালেন আজমতউল্লাহ ওমরজাইকে সঙ্গে নিয়ে।  

মঙ্গলবার বিপিএলের ম্যাচে সিলেট স্ট্রাইকার্সকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে রংপুর রাইডার্স। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে  ৮ উইকেট হারিয়ে ১২০ রান করে সিলেট। ওই রান তাড়া করতে নেমে ১০ বল হাতে রেখেই জয় পায় রংপুর।  

টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে সুবিধা করতে পারেনি সিলেট স্ট্রাইকার্স। ৩ বলে ৫ রান করে ফেরেন মোহাম্মদ মিঠুন। এরপর এদিন তিনে নেমে যান মাশরাফি বিন মুর্তজা। আগের ম্যাচে বল হাতে সুবিধা করতে না পারা সিলেট অধিনায়ক আজ ব্যাট হাতেও তেমন কিছু করতে পারেননি। ৭ বলে ৬ রান করে রান আউট হন তিনি। ক্রিজের কাছে পৌঁছে গেলেও ব্যাট মাটিতে ফেলেননি তিনি।  

এরপর রীতিমতো ধ্বস নামে সিলেটের ইনিংসে। ৮ ওভার ২ বলেই ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা, তাদের রান তখন ৩৯। এরপর দলের হাল ধরেন দুই বিদেশি বেনি হাওয়েল ও বেন কাটিং। দুজন মিলে গড়েন ৬৮ রানের জুটি।  

৩ চার ও ১ ছক্কায় ৩২ বলে ৩৭ রান করেন হাওয়েল, সমান রান করতে কাটিং খেলেন ৩৫ বল। তাদের দুজনকেই আউট করেন রিপন মণ্ডল, দুই উইকেট নিতে ৩ ওভারে ১৯ রান খরচ করেন তিনি। ৪ ওভারে ১৮ রান দিয়ে দুই উইকেট নেন মাহেদী হাসান। এছাড়া একটি করে উইকেট পান হাসান মুরাদ ও মোহাম্মদ নবী।  

রান তাড়ায় নেমে এদিন যেন শুরুতে পথ হারিয়ে ফেলে রংপুর রাইডার্স। ৭ বলে ৬ রান করে এনগারাভার বলে রনি তালুকদারের ফেরা দিয়ে শুরু হয়। এরপর তিনে খেলতে নেমে ডাক মারেন ব্রেন্ডন কিং, ৫ বলে কোনো রান না করা এই ব্যাটার বোল্ড হন নাজমুল ইসলাম অপুর বলে।  

অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহানও নিজের ইনিংস লম্বা করতে পারেননি। তানজিম হাসান সাকিবের বলে আউট হওয়ার আগে ৭ বলে ৮ রান করেন তিনি। ৩৩ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা রংপুরের জন্য রীতিমতো আতঙ্ক হয়ে আসেন দুশান্ত হেমন্থা। এই লেগ স্পিনারে দিশেহারা হয়ে যায় রংপুর।  

পাওয়ার প্লের ঠিক পরের ওভারে এসে শামীম হোসেন, মোহাম্মদ নবী ও মাহেদী হাসানের উইকেট নেন তিনি, তিনজনই হন এলবিডব্লিউ। আরেক প্রান্ত তবুও আগলে রাখেন বাবর আজম। আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের সঙ্গে ৮৬ রানের জুটি গড়ে দলের জয় নিশ্চিত করে ছাড়েন মাঠ। ৪৯ বলে ৬ চারে ৫৬ রান করে অপরাজিত থাকেন পাকিস্তানি এই ব্যাটার। ওমরজাই খেলেন ৩৫ বলে ৪৭ রানের অপরাজিত ইনিংস।

সিলেটের হয়ে ৪ ওভারে ২০ রান খরচায় ৩ উইকেট নেন দুসান হেমন্ত। একটি করে উইকেট নেন রিচার্ড এনগারাবা, তানজিম হাসান সাকিব ও নাজমুল ইসলাম।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০২৪
এমএইচবি/আরইউ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।