পাঞ্জাব কিংসের জন্য শেষ ওভারে ২৯ রানের লক্ষ্যটা অসম্ভবই মনে হচ্ছিল। কিন্তু ওই যে, হারার আগে হার মানতে নেই।
ম্যাচ তখন জমে ক্ষীর। ৪ বলে ১৫ রানে নেমে এল লক্ষ্য। পরের দুই বলে মিড উইকেট দিয়ে উড়িয়ে মারার চেষ্টা করেন আশুতোষ। কিন্তু দুটোতেই ডাবল নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয় তাকে। তখনো হাতছাড়া হয়নি ম্যাচ। ওয়াইড দিয়ে আবারও সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বুকে ভয় ধরিয়ে দেন উনাদকাট। তবে পঞ্চম বল শেষে স্বস্তির হাসিই বের হয় বাঁহাতি এই পেসারের মুখ থেকে।
লেংথ ডেলিভারিতে মিড উইকেটে থাকা রাহুল ত্রিপাঠির হাতে ক্যাচ তুলে দেন আশুতোষ শর্মা। ত্রিপাঠি যদিও তা ধরতে পারেননি। তবে আশুতোষকে এক রানের বেশিও নিতে দেননি তিনি। তাতেই জয় নিশ্চিত হয় হায়দরাবাদের। শেষ বলে শশাঙ্ক ছক্কা মারলেও তা হারের ব্যবধানই কমায়। আগের ম্যাচে নায়ক হওয়া এই ব্যাটার আজ বনে গেলেন ট্র্যাজিক হিরো।
মোহালিতে শেষ ওভারের নাটকীয়তা শেষে ২ রানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে হায়দরাবাদ। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৯ উইকেটে ১৮২ রান করে তারা। নিতিশ রেড্ডি ছাড়া আর কোনো ব্যাটারই রানের দেখা পাননি। ৩৭ বলে ৪ চার ও ৫ ছক্কায় ৬৪ রানে ম্যাচসেরা হন ডানহাতি এই ব্যাটার। এছাড়া ১২ বলে ২৫ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেন আব্দুল সামাদ। পাঞ্জাবের হয়ে চারটি উইকেট নেন অর্শদীপ সিং।
তাড়া করতে নেমে ব্যাটিং বিপর্যয়ের মধ্যে পড়ে পাঞ্জাব। পাওয়ার প্লের ভেতরই ভুবনেশ্বর কুমার দুটি ও প্যাট কামিন্স শিকার করেন একটি উইকেট। ১১৪ রানের ৬ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে অনেকটাই ছিটকে যাচ্ছিল পাঞ্জাব। কিন্তু ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে খেলা জমিয়ে দেন আশুতোষ ও শশাঙ্ক। কিন্তু ২৭ বলে অবিচ্ছিন্ন ৬৬ রানের জুটিটি শেষ পর্যন্ত বিফলেই যায়। আশুতোষ ১৫ বলে ৩৩ ও শশাঙ্ক ২৫ বলে ৪৬ রানে অপরাজিত থাকেন।
বাংলাদেশ সময়: ০০২১ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০২৪
এএইচএস