নিগার সুলতানা জ্যোতি এলেন হেড কোচ হাসান তিলকারাত্নেকে নিয়ে। দুজনের সঙ্গী হলেন হাবিবুল বাশার সুমনও।
বাংলাদেশ অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতির কথাতেও ফুটে উঠলো সেটি। ২০১৮ সালে মেয়েদের এশিয়া কাপ জয় বাংলাদেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় সাফল্যগুলোর একটি। এরপর থেকে একটা ভিন্ন মাত্রা পেয়েছে মেয়েদের ক্রিকেট, এমন মনে করেন জ্যোতি। তাদের স্বপ্নটাও এখন বড়।
জ্যোতি বলেন, ‘এশিয়া কাপ আমাদের মেয়েদের ক্রিকেটের জন্য অন্যরকম একটা আবেগের জায়গা। ২০১৮ সালের এশিয়া কাপ জয়ের পর বাংলাদেশের মেয়েদের ক্রিকেটে কিন্তু বড় রেভ্যুলেশন হয়েছে। এটা আমাদের জন্য অনেক বড় সুযোগ, বিশ্বকাপের আগে নিজেকে ঝালিয়ে নেওয়া যাবে এশিয়া কাপের মাধ্যমে। ’
‘শেষ দুটি সিরিজ খারাপ গিয়েছে, আমরা একটা ম্যাচও জিততে পারিনি। এরপর আমাদের একটা লম্বা বিরতি গেল, আমরা এ সময় ঘরোয়া ক্রিকেট খেলেছি। সেখানে যারা ভালো করেছে, তাদের আমরা দলে এনেছি। সর্বশেষ ক্যাম্পেও দেখলাম সবাই ভালো ছন্দে আছে। আমরা এখন ভালো ক্রিকেট খেলার জন্য মুখিয়ে আছি। ’
সবশেষ এশিয়া কাপ হয়েছিল বাংলাদেশের মাটিতেই। কিন্তু সেটিতে সেমিফাইনাল খেলতে পারেনি তারা। এবার তাই বাংলাদেশের শুরুর লক্ষ্য সেরা চারে থাকা। গ্রুপ পর্বে তাদের মুখোমুখি হতে হবে শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড ও মালেশিয়ার বিপক্ষে। এই টুর্নামেন্ট সামনে রেখে জাহানারা আলম-রুমানা আহমেদের মতো সিনিয়র ক্রিকেটারদের ফেরায়ও কিছুটা স্বস্তি আছে জ্যোতির।
তিনি বলেন, ‘সর্বশেষ এশিয়া কাপে আমরা সেমিফাইনালে যেতে পারিনি। এবার স্বাভাবিকভাবেই প্রথম লক্ষ্য সেমিফাইনাল। এর জন্য আমাদের প্রথম ম্যাচটা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ লম্বা সময় ধরে আমরা ভালো করছি না। কিছু ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স দেখেছি, কিন্তু দল হিসেবে ভালো করিনি। আমাদের মোমেন্টামের জন্য শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচটা ভালো করে শুরু করতে চাই। ’
‘অভিজ্ঞতা সবসময় কাজে লাগে। তারা দুজনই সর্বশেষ দুটি এশিয়া কাপে খেলেছেন। রুমানা আপু অনেকদিন পর ফিরলেন। জাহানারা আপুও। দুজনই কিন্তু সর্বশেষ ঘরোয়া টুর্নামেন্টে দুর্দান্ত পারফর্ম করেছেন। এই দুজন অভিজ্ঞ খেলোয়াড় আমার মনে হয় দলে অনেক বড় প্রভাব ফেলবে। আমরা প্রস্তুতি ম্যাচগুলোতে দেখেছি তারা তাদের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাচ্ছে। এটা দলের জন্য সুবিধা হবে। ’
বাংলাদেশ সময় : ১৩৩১ ঘণ্টা, জুলাই ১৫, ২০২৪
এমএইচবি/ এআর