তাইজুল ইসলাম এ সংক্রান্ত প্রায় সব প্রশ্নই ‘পাস’ করে দিতে চাইছিলেন যেন। নাজমুল হোসেন শান্ত আসলেই অধিনায়কত্ব ছাড়ছেন কি না প্রশ্নে, ‘জানি না’ বলেই পার করছিলেন।
ম্যাচের আগের দিন অধিনায়ক বা কোচ, অথবা অন্তত টিম ম্যানেজমেন্টের কেউই সংবাদ সম্মেলন করেন। তাইজুল যে তাদের কেউ নন, তা তিনি নিজেই বলেছেন। তবুও তাকে আসতে হয়েছে হয়তো বাকিরাও ‘এড়িয়ে’ যেতে চাওয়ায়।
কিন্তু বাংলাদেশের ক্রিকেটে কখনোই মাঠের বাইরের ঘটনা ‘এড়িয়ে’ যাওয়ার খুব বেশি সুযোগ থাকে না। এসব ঘটনার বেশির ভাগই আবার ঘটে সিরিজ চলাকালীন সময়ে। এই সিরিজ শুরুর আগেও যেমন আলোচনায় ছিল সাকিবের দেশে ফেরার প্রসঙ্গটি।
এখন প্রথম টেস্ট খেলার পরই শান্তর অধিনায়কত্ব ছাড়ার প্রসঙ্গটি সামনে আসে। এর আগের দুয়েকজনও নেতৃত্ব ছেড়েছেন সিরিজের মাঝপথে, নাটকীয়ভাবে। এসব ঘটনা কি ক্রিকেটারদের মধ্যে প্রভাব ফেলে? এতক্ষণ বিভিন্ন বিষয় এড়িয়ে যাওয়া তাইজুল বললেন, ‘আপনার প্রশ্নটা অনেক গভীর। ’
তার পুরো উত্তর ছিল এমন, ‘এটা আসলে আমাদের টিম গেম। দল কী করে ভালো থাকবে এটা হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ। এটার প্রভাব কেউ কেউ নিতে পারে, আবার কেউ রিল্যাক্স থেকে নিজের কাজটা করে যেতে পারে। আমি ব্যক্তি হিসেবে বলব সবসময় রিল্যাক্স থাকার চেষ্টা করি এবং নিজের কাজটা করার চেষ্টা করি। কিন্তু এটা যখন একটা দলের ভেতরে ঘটে, জানি না কে কোন হিসেবে নেয়। আসলে সবার মাইন্ড একরকম না। ’
‘আর আপনি যে প্রশ্ন করছেন, এটা আসলে অনেক গভীর একটা প্রশ্ন। এটার উত্তর আমার কাছে নেই, এটাই সত্যি। কারণ আমি যখন একটা ম্যানেজমেন্ট মিটিং হয় বা বোর্ডের যখন মিটিং হয়, আমি বা খেলোয়াড়রা কিন্তু জড়িত থাকে না। অধিনায়ক কে হচ্ছে, কোচ কে হচ্ছে, এটা আমাদের অংশ নয়। ’
কয়েকদিন ধরে গণমাধ্যমের খবর, তিন ফরম্যাটের অধিনায়কত্ব একসঙ্গে ছাড়তে চাওয়ার কথা বোর্ডকে জানিয়েছেন শান্ত। বোর্ড সভাপতি ফারুক আহমেদের সঙ্গে আলোচনা করেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসবে বলে শোনা যাচ্ছে।
এ প্রসঙ্গের প্রশ্নে তাইজুলের ছোট উত্তর, ‘আসলে এ বিষয়ে আমি কিছু শুনিনি। এটা আমার পার্টও না। এই বিষয়ে আমি সঠিকটা জানি না। ’ শান্ত নাকি অধিনায়কত্ব ছাড়তে চান দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের পরই। তাহলে কালই তার শেষ ম্যাচ। এ ব্যাপারে সতীর্থদের কি কিছু জানাননি? তাইজুলের জবাব, ‘আমি জানিই না ভাই, এ বিষয়ে। ’
বাংলাদেশ সময় : ১৩২১, অক্টোবর ২৮, ২০২৪
এমএইচবি/এএইচএস