আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে একই ম্যাচে দুই হ্যাটট্রিকের দেখা মেলেনি কখনো। আজ অবশ্য সেই সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল।
ডাম্বুলায় দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে শ্রীলঙ্কাকে ৫ রানে হারিয়েছে নিউজিল্যান্ড। ফলে ১-১ সমতায় শেষ হলো সিরিজ।
৩ উইকেট হাতে রেখে শেষ ওভারে জয়ের জন্য ৮ রান দরকার ছিল লঙ্কানদের। পাথুম নিশাঙ্কা ক্রিজে থাকায় জয়ের সম্ভাবনায় এগিয়ে ছিল স্বাগতিকরাই।
প্রথম বলে সিঙ্গেল নিয়ে নিশাঙ্কাকে স্ট্রাইক দেন মাহিশ থিকশানা। কিন্তু দ্বিতীয় বলে ছক্কা মারতে গিয়ে লং অনে থাকা হেনরি নিকোলসের হাতে ক্যাচ দেন নিশাঙ্কা। পরের বলে মাথিশা পাথিরানাকে পড়েন স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে। ফলে ফিলিপসের জন্য তৈরি হয় হ্যাটট্রিকের সুযোগ।
পঞ্চম বলে নুয়ান থুশারা হাওয়ায় মেরেছিলেন বটে। কিন্তু ফিল্ডার আসার আগেই মাটিতে পড়ে যায় বল। তবে পঞ্চম বলে উইকেট রক্ষক মিচেল হেইর কাছে ক্যাচ দিয়ে শ্রীলঙ্কার হার নিশ্চিত করে থিকশানা। তাতে অবশ্য এক ম্যাচে সর্বোচ্চ ছয়টি ডিসমিসালের রেকর্ড গড়েন হেই। একটি স্টাম্পিংয়ের পাশাপাশি গ্লাভস হাতে পাঁচটি ক্যাচ নেন এই উইকেটরক্ষক।
লো স্কোরিং থ্রিলারে এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ১০৮ রানে গুটিয়ে যায় নিউজিল্যান্ড। ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা ও পাথিরানার সামনে কোনো ব্যাটারই সেভাবে দাঁড়াতে পারেননি। সর্বোচ্চ ৩০ রান আসে উইল ইয়াংয়ের ব্যাট থেকে। কেবল ১৭ রান দিয়ে হাসারাঙ্গা ৪টি এবং ১১ রান খরচে ৩ উইকেট নেন পাথিরানা।
তাড়া করতে নেমে বিপর্যয়ের মুখে পড়ে লঙ্কানরাও। ষষ্ঠ ওভারের শেষ বলে কুশল পেরেরা, অষ্টম ওভারের প্রথম দুই বলে কামিন্দু মেন্ডিস ও চারিথ আসালঙ্কাকে শিকার করে হ্যাটট্রিক পূরণ করেন ফার্গুসন।
এমন ধসের পরও শ্রীলঙ্কার আশা হয়ে ছিলেন একপ্রান্ত আগলে রাখা নিশাঙ্কা। কিন্তু ফিলিপসের সেই ম্যাজিক্যাল ওভার তা আর পূরণ হতে দিল কই। তাই বিফলে যায় তার ৫১ বলে ৬ চারে ৫২ রানের ইনিংসটি।
বাংলাদেশ সময়: ০০৩৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০২৪
এএইচএস