আগের দিনই আভাস ছিল রোমাঞ্চের দেখা মিলবে সেঞ্চুরিয়ন টেস্টে। মোহাম্মদ আব্বাসের বোলিংয়ে চতুর্থ দিনের প্রথম সেশনে দারুণভাবে ম্যাচে ফিরেও এলো পাকিস্তান।
তিন বছর পর টেস্ট দলে ফেরা আব্বাস খুব চেষ্টা করেছিলেন প্রত্যাবর্তনকে জয়ে রাঙানোর। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে ৬ উইকেট নিয়েও তাকে মাথা নিচু করেই রাখতে হয়।
১৪৮ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে গতকালই ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে দক্ষিণ আফ্রিকা। ২৭ রানে থেকে আজ শুরু করে দিনের খেলা। এইডেন মার্করাম ও টেম্বা বাভুমার জুটিতে আবারও লড়াইয়ে ফিরতে থাকে তারা। কিন্তু ছোট ছোট সুইংয়ে ফাঁদ পেতে বসেন আব্বাস। তার প্রথম শিকার হন মার্করাম। ৬৩ বলে ৬ চারে ৩৭ রানে বোল্ড হন তিনি।
ভাঙে বাভুমার সঙ্গে ৪৩ রানের জুটি। যদিও প্রোটিয়া অধিনায়ককে ফিরতে হয় নিজের ভুলেই। আব্বাসের বল তার প্যাডে লেগে আশ্রয় নেয় উইকেটরক্ষক মোহাম্মদ রিজওয়ানের গ্লাভসে। ৭৮ বলে ৪ চার ও ১ ছক্কায় ৪০ রানে ফিরে যাওয়ার আগে রিভিউও নেননি।
পরে একই ওভারে ডেভিড বেডিংহ্যাম ও করবিন বশকেও তুলে নেন আব্বাস। এর আগে অবশ্য কাইল ভেরেইনাকে শিকার করেন নাসিম শাহ। মাত্র ৯৯ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে ফেলায় প্রচণ্ড চাপের মুখে প্রোটিয়ারা। কিন্তু নাটকের তখনো ঢের বাকি।
ইনিংসের মেরামতের অভিজ্ঞতা বেশ ভালোই আছে ইয়ানসেন। তাই একপ্রান্তে অনড় থাকেন তিনি। অপরপ্রান্তে পাল্টা আক্রমণ শুরু করেন রাবাদা। কখনো কাভারের ওপর দিয়ে, কখনো বোলারের মাথার ওপর দিয়ে খেলতে থাকেন দুঃসাহসী সব শট। তা দেখে উচ্ছ্বসিত হয়ে পড়ে পুরো স্টেডিয়াম। ভক্তদের সেই অটুট সমর্থনকে আর বিফলে যেতে দেননি ইয়ানসেন। আব্বাসের বলে থার্ড ম্যান অঞ্চল দিয়ে মারা তার চারেই নিশ্চিত হয় জয়। ২৪ বলে ৩ চারে ১৬ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। অন্যদিকে ২৬ বলে ৫ চারে ৩১ রানের অপরাজিত ইনিংস উপহার দেন রাবাদা।
টেস্ট ইতিহাসে এনিয়ে প্রথমবার ২ উইকেটের জয় পেল প্রোটিয়ারা। সেই জয়ই তাদের প্রথমবারের মতো এনে দিল টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের টিকিট। ১১ ম্যাচে ৬৬.৬৭ শতাংশ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে আছে তারা। আগামী বছর লর্ডসে অনুষ্ঠিতব্য ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ কে হবে, তা জানতে অপেক্ষা করতে হবে আরও কিছুটা সময়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০২৪
এএইচএস