তিন দিনও লাগেনি, আরও ভালোভাবে বললে দুইদিনেই শেষ হলো মুলতান টেস্ট। ৪০ উইকেট পড়তে লেগেছে ১০৬৪ বল।
পাকিস্তানের স্পিন অ্যাটাকের সামনে যে ওয়েস্ট ইন্ডিজ বেশিক্ষণ থিতু হতে পারবে না, তার ইঙ্গিত মিলেছিল প্রথম ইনিংসে। সেবার ৫ উইকেট নেন নোমান আলী। তবে প্রথম চারটি উইকেট ছিল সাজিদ খানের। দ্বিতীয় ইনিংসে দাপট দেখান এই অফ স্পিনার। মাত্র ৫০ রানে শিকার করেন ৫ উইকেট। সবমিলিয়ে ৯ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতেন তিনি।
২৫১ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ১২৩ রানেই গুটিয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। অ্যালিক অ্যাথানেজ ছাড়া আর কোনো ব্যাটারই তেমন প্রতিরোধ গড়তে পারেননি। সর্বোচ্চ ৫৫ রান করেন তিনি। সাজিদ বাদে পাকিস্তানের হয়ে চারটি উইকেট নেন আবরার আহমেদ ও বাকি একটি নোমানের।
অথচ দ্বিতীয় ইনিংসে ৩ উইকেটে ১০৯ রান নিয়ে দিন শুরু করেছিল পাকিস্তান। লাঞ্চের আগে একে একে ১২ উইকেটের পতন দেখা যায়। জোমেল ওয়ারিক্যানের ক্যারিয়ারসেরা বোলিংয়ের সামনে ১৫৭ রানেই গুটিয়ে যায় পাকিস্তান। কেবল ৩২ রানে ৭ উইকেট নেন ওয়ারিক্যান।
প্রথম সেশন যখন শেষ হয়, তখন ওয়েস্ট ইন্ডিজের অবস্থা ৫ উইকেটে ৫০ রান। এরপর পাকিস্তানের জয় কেবল সময়ের ব্যাপার ছিল মাত্র। আর সেটাই হলো। এনিয়ে দুই ইনিংসের সবগুলো উইকেটই পাকিস্তানের স্পিনারদের দখলে গেল।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
পাকিস্তান: ২৩০ ও ১৫৭ (মাসুদ ৫২, হুরায়রা ২৯; ওয়ারিক্যান ৭/৩২)
ওয়েস্ট ইন্ডিজ : ১৩৭ ও ১২৩ (অ্যাথানেজ ৫৫, ইমলাচ ১৪; সাজিদ ৫/৫০, আবরার ৪/২৭, নোমান ১/৪২)
ফল: পাকিস্তান ১২৭ রানে জয়ী।
ম্যাচসেরা: সাজিদ খান (৪/৬৫ ও ৫/৫০)।
সিরিজ: দুই ম্যাচ সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে পাকিস্তান।
বাংলাদেশ সময়; ১৫৪৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০২৫
এএইচএস