চট্টগ্রামে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিন শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের দখলে। দিনের শেষ সেশনে দারুণ ঘুরে দাঁড়িয়ে ৭ উইকেট তুলে নিয়েছে তাইজুল ইসলাম ও নাঈম হাসানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ।
দিনের শুরুটা অবশ্য ছিল জিম্বাবুয়ের নিয়ন্ত্রণে। ওপেনিং জুটিতে ব্রায়ান বেনেট ও বেন কারান মিলে এনে দেন ৪১ রান। অভিষিক্ত তানজিম হাসান সাকিব প্রথম উইকেট তুলে নিয়ে বাংলাদেশকে প্রথম সাফল্য এনে দেন, ২১ রানে ফেরান বেনেটকে। সমান ২১ রানে বিদায় নেন আরেক ওপেনার কারান, তাকে ফেরান তাইজুল ইসলাম।
দুই ওপেনারকে হারালেও তৃতীয় উইকেটে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় জিম্বাবুয়ে। নিক ওয়েলচ ও শন উইলিয়ামসের জুটিতে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। ব্যাট হাতে ঝড় তুলে ৫৪ রান করা ওয়েলচ অবশ্য হঠাৎ গরমে কাবু হয়ে 'রিটায়ার্ড হার্ট' হয়ে মাঠ ছাড়েন। পরে জানা যায়, ক্র্যাম্পের কারণেই ব্যাটিং চালিয়ে যেতে পারেননি তিনি। ওয়েলচের এই ছিটকে যাওয়াই ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয় বাংলাদেশের পক্ষে।
এরপর নতুন ব্যাটার ক্রেইগ আরভিনকে মাত্র ৫ রানে ফিরিয়ে দেন নাঈম হাসান। ফিরতি ওভারে সেট ব্যাটার উইলিয়ামসকেও সাজঘরে পাঠান তিনি। ১১৫ বল মোকাবেলা করে ৬৭ রান করা উইলিয়ামসের বিদায়ের পর স্পিন ভেলকি দেখানো শুরু হয়।
তাইজুল ইসলাম টানা দুই ওভারে তিনটি উইকেট তুলে নিয়ে ধস নামিয়ে দেন জিম্বাবুয়ের ব্যাটিংয়ে। বিশেষ করে ৮১তম ওভারে চতুর্থ ও পঞ্চম বলে দুই উইকেট তুলে নিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনাও তৈরি করেছিলেন বাঁহাতি স্পিনার। যদিও হ্যাটট্রিকের স্বাদ পাওয়া হয়নি, তবে দিনের শেষ উইকেট নিয়ে ৫ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন তিনি। ২৯ ওভারে ৬০ রানে ৫ উইকেট নিয়েছেন এই অভিজ্ঞ স্পিনার।
শেষ বিকেলে বাংলাদেশের স্পিন আক্রমণে লণ্ডভণ্ড হলেও অলআউট করা যায়নি জিম্বাবুয়েকে। দিন শেষে ৯ উইকেটে ২২৭ রান তুলেছে সফরকারীরা। তাফাদজাওয়া সিগার ১৮ রানে এবং ব্লেসিং মুজারাবানি ২ রানে অপরাজিত রয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২২ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৮, ২০২৫
এমএইচএম