২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর তিন ফরম্যাটেই বাংলাদেশের অধিনায়কত্বের দায়িত্ব পেয়েছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। কিন্তু বছর না ঘুরতেই একে একে তিন ফরম্যাট থেকেই নেতৃত্ব ছাড়ছেন এই বাঁহাতি ব্যাটার।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে শান্ত বলেন,
‘আমার একটা ঘোষণা আছে। আমি বাংলাদেশের টেস্ট দলের অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়াচ্ছি। এই ফরম্যাটে আমি আর নেতৃত্ব দিতে চাই না। এটা ব্যক্তিগত কোনো বিষয় নয়, একান্তই দলের স্বার্থে নেওয়া সিদ্ধান্ত। আমি বিশ্বাস করি, এতে দলের উপকার হবে। ’
তিনি বলেন, তিন ফরম্যাটে তিনজন অধিনায়ক থাকাটা দলীয় কাঠামোর জন্য উপযোগী নয়। তার ভাষায়,
‘গত কয়েক বছর ধরে আমি এই ড্রেসিংরুমে আছি। আমার ব্যক্তিগত মত, তিন ফরম্যাটে তিন অধিনায়ক থাকলে দল বিভক্ত হয়ে যেতে পারে। বোর্ডের ভিন্ন মত থাকতে পারে, আমি সেটা সম্মান করি। তবে আমি মনে করি, দলের ভালোই হবে যদি আমি সরে দাঁড়াই। ’
সম্প্রতি ওয়ানডে দলের অধিনায়ক করা হয়েছে মেহেদী হাসান মিরাজকে। তার আগেই টি-টোয়েন্টির নেতৃত্ব ছেড়েছিলেন শান্ত নিজেই। ফলে এমন সিদ্ধান্তের পেছনে ‘অভিমান’ কাজ করছে কি না—এই প্রশ্নও উঠেছে। শান্ত সেটা পরিষ্কারভাবে নাকচ করে বলেন,
‘আমি চাই না কেউ ভাবুক, এটা ওয়ানডে অধিনায়কত্ব হারানোর কোনো প্রতিক্রিয়া। এটা সম্পূর্ণ পেশাদার একটি সিদ্ধান্ত, দলের ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখেই নেওয়া। ’
তিনি আরও জানান, কয়েক দিন আগেই ক্রিকেট অপারেশন্স বিভাগকে সিদ্ধান্তটি জানিয়ে রেখেছিলেন।
এর আগে গত বছরই শান্ত নেতৃত্ব ছাড়তে চেয়েছিলেন। তবে তৎকালীন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন তার অনুরোধে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন শান্ত। সেবার তিনি শুধু টি-টোয়েন্টির দায়িত্বটা ছেড়ে দেন।
তবে পরিসংখ্যান বলছে, অধিনায়কত্ব পেয়ে শান্ত আরও পরিণত হয়েছেন ব্যাট হাতে। যেখানে টেস্ট ক্যারিয়ারে তার গড় ৩২, সেখানে অধিনায়ক হিসেবে সেই গড় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৬-এ। টেস্টে তার ৭টি সেঞ্চুরির মধ্যে ৩টিই এসেছে অধিনায়ক থাকা অবস্থায়, সঙ্গে আছে আরও দুটি ফিফটি।
এমএইচএম