ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২ আশ্বিন ১৪৩২, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

ক্রিকেট

আজমল-হাফিজ থেকে ‘নো হ্যান্ডশেক’, পাইক্রফটের সঙ্গে পাকিস্তানের দ্বন্দ্ব অনেক পুরনো

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪:৩৭, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৫
আজমল-হাফিজ থেকে ‘নো হ্যান্ডশেক’, পাইক্রফটের সঙ্গে পাকিস্তানের দ্বন্দ্ব অনেক পুরনো সংগৃহীত ছবি

এশিয়া কাপ ২০২৫–এ পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) ও ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফটের মধ্যে তৈরি হয়েছে নতুন বিতর্ক। অভিযোগ উঠেছে, ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে টসের সময় পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান আলি আগাকে ভারতীয় অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদবের সঙ্গে হাত মেলাতে নিষেধ করেছিলেন পাইক্রফট।

পিসিবি এই অভিযোগের ভিত্তিতে আইসিসির কাছে অভিযোগ দায়ের করে এবং পাইক্রফটকে পুরো টুর্নামেন্ট থেকে সরানোর দাবি জানায়। তবে আইসিসি সেই দাবি প্রত্যাখ্যান করে। পরে সমঝোতার অংশ হিসেবে পাকিস্তান-ইউএই ম্যাচে রিচি রিচার্ডসনকে ম্যাচ রেফারি হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।

পাকিস্তানের সঙ্গে পাইক্রফটের দ্বন্দ্ব অনেক পুরনো। ২০১৪ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গলে টেস্টের পর অফ-স্পিনার সাঈদ আজমলকে অবৈধ বোলিং অ্যাকশনের অভিযোগে রিপোর্ট করেছিলেন তিনি। এর ফলে আজমল অনির্দিষ্টকালের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছিলেন। একই বছর পরের দিকে মোহাম্মদ হাফিজের বোলিং অ্যাকশনও রিপোর্ট করেছিলেন পাইক্রফট।

এছাড়া ২০২২ এশিয়া কাপে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে আসিফ আলি ও আফগান বোলার ফারিদ আহমদের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হলে আসিফকে ম্যাচ ফির ২৫ শতাংশ জরিমানা ও এক ম্যাচ নিষেধাজ্ঞা দেন পাইক্রফট।

গত রোববার ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের পর ‘হ্যান্ডশেক না করা’ নিয়ে শুরু হয় নতুন বিতর্ক। পিসিবি দাবি করে, এটি আইসিসির আচরণবিধি লঙ্ঘন। তবে ভারতের পক্ষ থেকে জানানো হয়, জম্মু-কাশ্মীরের পাহালগাম সন্ত্রাসী হামলায় নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে হাত মেলানো হয়নি।

সাবেক ভারতীয় ক্রিকেটার ও ম্যাচ রেফারি কিরণ মোকাশি বলেন, ‘তারা (পাকিস্তান) আসলে হারের পর ইস্যু বানাচ্ছে। হ্যান্ডশেক বাধ্যতামূলক নয়, এটি খেলার চেতনার অংশ মাত্র। ’

পাইক্রফটের ক্যারিয়ার জুড়ে রয়েছে বেশ কিছু আলোচিত মুহূর্ত। ২০১৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউন টেস্টে ‘স্যান্ডপেপার কেলেঙ্কারি’র ঘটনায় অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক স্টিভ স্মিথকে এক ম্যাচ নিষিদ্ধ ও ম্যাচ ফির ১০০ শতাংশ জরিমানা করেছিলেন তিনি। আবার ২০২২ সালের বক্সিং ডে টেস্টে বিরাট কোহলির শারীরিক সংঘর্ষের ঘটনায় হালকা শাস্তি দেওয়ায় সমালোচিত হয়েছিলেন।

২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত তিনি ১০০টির বেশি টেস্টে দায়িত্ব পালন করেছেন, যা তাকে বিশ্বের অন্যতম অভিজ্ঞ ম্যাচ রেফারিদের একজন করে তুলেছে।

এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।