ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ যেন ভবিষ্যতে আর না হয়, এমন আহ্বান জানিয়েছেন ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক মাইকেল অ্যাথারটন। সম্প্রতি শেষ হওয়া এশিয়া কাপের পর এক কলামে তিনি লেখেন, এখন ক্রিকেট আর কূটনীতির মাধ্যম নয়, বরং হয়ে উঠেছে প্রচারণার হাতিয়ার।
দ্য টাইমস পত্রিকায় প্রকাশিত নিজের কলামে অ্যাথারটন লেখেন, ‘আইসিসির উচিত ভবিষ্যতের টুর্নামেন্টগুলোতে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ সূচিতে না রাখা। দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা দিন দিন বাড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে এসব ম্যাচ আয়োজন যুক্তিসঙ্গত নয়। ’
গত ২৮ সেপ্টেম্বর এশিয়া কাপের ফাইনালে পাকিস্তানকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় ভারত। কিন্তু পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে ছিল বিতর্ক। করমর্দন না করা, ট্রফি বিতরণ নিয়ে বিরোধ, এমন নানা ঘটনায় আলোচনায় ছিল ভারত-পাকিস্তান প্রতিদ্বন্দ্বিতা।
অ্যাথারটন মনে করেন, এই ম্যাচগুলো অর্থনৈতিকভাবে আকর্ষণীয় হলেও ক্রিকেটের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে, ‘ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ খুব বিরল হওয়ায় এর অর্থনৈতিক গুরুত্ব অনেক বেশি। এ কারণেই আইসিসি টুর্নামেন্টগুলোর সম্প্রচার অধিকার এত দামী। যার মধ্যে সর্বশেষ ২০২৩-২০২৭ চক্রে প্রায় ৩ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি হয়েছে। ’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘দ্বিপাক্ষিক সিরিজের গুরুত্ব কমে যাওয়ায় আইসিসি টুর্নামেন্টের মূল্য বেড়েছে। তাই ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ এখন টুর্নামেন্ট আয়োজকদের আর্থিক ভারসাম্যের অন্যতম অংশ হয়ে উঠেছে। ’
২০১৩ সালের পর থেকে দুই দেশ কেবলমাত্র বিশ্বকাপ, চ্যাম্পিয়নস ট্রফি ও এশিয়া কাপের মতো বহুপাক্ষিক টুর্নামেন্টেই একে অপরের মুখোমুখি হচ্ছে। শেষবার দ্বিপাক্ষিক সিরিজ হয়েছিল সেই ২০১৩ সালেই।
অ্যাথারটন লিখেছেন, ‘যদি ক্রিকেট একসময় কূটনীতির বাহন হয়ে থাকে, এখন তা পরিণত হয়েছে রাজনৈতিক প্রচারণার প্রতীকে। শুধুমাত্র অর্থনৈতিক লাভের জন্য ম্যাচ আয়োজন কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। বরং এসব ম্যাচ এখন অন্য উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হচ্ছে, যা আরও অনুচিত। ’
তিনি আরও বলেন, ‘পরবর্তী সম্প্রচার চুক্তির আগে আইসিসির উচিত সূচি ড্র প্রক্রিয়াকে সম্পূর্ণ স্বচ্ছ করা। যদি ভারত-পাকিস্তান প্রতিবার মুখোমুখি নাও হয়, তাতেও কোনো সমস্যা নেই। ’
আরইউ