ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

জিতে বিদায় জাভেদ ওমরের

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩, ২০১৪
জিতে বিদায় জাভেদ ওমরের ছবি:শোয়েব মিথুন/বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: কোনো আন্তর্জাতিক বা ঘরোয়া ক্রিকেট নয়, এক প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচের মধ্য দিয়ে অবসর নিলেন বাংলাদেশের সাবেক ওপেনার জাভেদ ওমর বেলিম। হাবিবুল বাশার, আমিনুল ইসলাম, খালেদ মাসুদ ও খালেদ মাহমুদের মতো দেশের পথিকৃত ক্রিকেটারদের নিয়ে সাজানো দলের নেতৃত্বে থেকে জয়ও পেলেন তিনি।

শুক্রবার টিম বিএসজেএ’র বিপক্ষে সাহারা বিসিবি একাডেমি মাঠে তার দল জয় পেয়েছেন ৯৩ রানে।

সাবেক জাতীয় খেলোয়াড়দের বিদায়ি শুভেচ্ছা ও সাংবাদিকদের অকৃত্রিম ভালবাসায় সিক্ত হয়ে খেলোয়াড়ি জীবনের ইতি টানলেন সাবেক জাতীয় ওপেনার।

জাভেদ ওমরের নেতৃত্বে লিজেন্ডস অব বাংলাদেশ দলের হয়ে মাঠে নামেন মেহরাব হোসেন অপি, হাবিবুল বাশার সুমন, আমিনুল ইসলাম বুলবুল, সানোয়ার হোসেন, খালেদ মাসুদ পাইলট, খালেদ মাহমুদ সুজন, এনামুল হক মনি, হাসিবুল হোসেন শান্ত, নিয়ামুল রশিদ রাহুল, মিজানুর রহমান বাবুল, হাসানুজ্জামান ঝড়ু, মোরশেদ আলী খান সুমন ও মাশরাফি মুর্তজা প্রমুখ।

এছাড়াও মাঠে উপস্থিত ছিলেন প্রধান নির্বাচক ফারুক আহমেদ, বিসিবি পরিচালক জালাল ইউনূস, জাতীয় দলের ওপেনার তামিম ইকবাল, সাবেক জাতীয় পেসার মঞ্জুরুল ইসলাম।

সাবেক তারকার বিদায়বেলায় স্মৃতিচারণ করলেন মাশরাফি,‘যখন আমি প্রথম জাতীয় দলে ডাক পাই, তখন আমি টিম হোটেলে জাভেদ ভাইয়ের সঙ্গে একই রুমে ছিলাম। তখন আমি ছোট ছিলাম, তার সঙ্গে এক রুমে থাকায় ধীরে ধীরে ঘনিষ্ঠত‍া তৈরি হয়। অনেক ক্রিকেটীয় বিষয় ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল যেগুলো উনি আমাকে শেখাতেন। ’

জাতীয় দলের এই পেসার আরও বলেন,‘জাভেদ ভাই হয়তো আন্তর্জাতিক ম্যাচের মধ্য দিয়ে বিদায় নিতে পারলেন না, প্রীতি ম্যাচে বিদায় নিলেন। কিন্তু এটাও গুরুত্বপূর্ণ। মাঠে থেকে আরও সাবেক খেলোয়াড়দের মধ্যে থেকে তার বিদায়টাও আনন্দের। আমরা তাকে মিস করব। ’

বিদায়ের পর আপ্লুত জাভেদ,‘আমি চার প্রজন্ম ধরে ক্রিকেট খেলেছি। আতাহার আলী থেকে শুরু করে সাকিবদের সঙ্গে খেলেছি যা সৌভাগ্যের। আমি সবসময় চেষ্টা করেছি যখনই খেলি না কেন সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকে। অনেক পরিশ্রম করতাম নিজেকে ফিট রাখতে। প্রতিভাবান না হলেও পরিশ্রমের কারণেই এতদূর এসেছি। ইচ্ছা ছিল ঘরোয়া লিগে খেলে বিদায় নেব। কিন্তু বিএজজেএ যে আয়োজন করেছে তাতে কোনো শূন্যতা অনুভব করিনি। আমি আনন্দিত। ক্রিকেটে মাঠে না থাকলেও সঙ্গেই থাকব। ’

২০০৭ সালে ৪০তম টেস্ট এবং ৫৯তম ওয়ানডে খেলে জাতীয় দলের বাইরে চলে যান জাভেদ। ২০১১ সালের ডিসেম্বরে সর্বশেষ ব্যাট হাতে নিয়েছিলেন বরিশাল বিভাগের হয়ে।

বিএসজেএ’র পক্ষ থেকে জাভেদ ওমর বেলিমকে ক্রেস্ট প্রদান করেন সভাপতি এ টি এম সাইদুজ্জামান ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাইদুর রহমান শামীম ।  

সংক্ষপ্তি  স্কোর
লিজেন্ডস অব বাংলাদেশ ২০ ওভার ২৮১/৬

জভেদ ওমর বেলিম ৪০, এনামুল হক মনি ২১, খালেদ মাসুদ পাইলট ৫৩, খালেদ মাহমুদ সুজন ৬৭, আমিনুল ইসলাম বুলবুল ২৭, মাশরাফি বিন মুর্তজা ৪১।

মোহাম্মদ ইসাম ২টি, রায়হান মাহমুদ, সাইদুজ্জামান, রিয়াজুর রহমান রোহান প্রত্যেকে ১টি করে উইকেট নেন।

টিম বিএসজেএ ২০ ওভার ১৮৮/৬

রিয়াজুর রহমান রোহান ১০৬, মাজহার উদ্দিন ৫০, আসিফ ইকবাল ২১ ও তারেক মাহামুদ মনি ১২।

সানোয়ার হোসেন, হাবিবুল বাশার, মাশরাফি মুর্তজা ও খালেদ মাহমুদ প্রত্যেকে একটি করে উইকেট নেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫০ ঘণ্টা, ৩ জানুয়ারি ২০১৪
সম্পাদনা: ফাহিম হোসেন মাজনুন, নিউজরুম এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।