ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

ক্রিকেট

আনন্দে আত্মহারা নেপাল, হতাশ হংকং

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২০৯ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০১৪
আনন্দে আত্মহারা নেপাল, হতাশ হংকং ছবি: সোহেল সরওয়ার/বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

চট্টগ্রাম: পর পর চার ম্যাচে জেতা। প্রস্তুতি ম্যাচে টেস্ট খেলুড়ে দল জিম্বাবুয়েকে হারিয়ে যেন আকাশে উড়ছিলো হংকং।

সে হংকংকে এক টানেই মাঠিতে নামিয়ে দিল হিমালয় কন্যা নেপাল। রোববার জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে হংকংয়ের বিপক্ষে ৮০ রানের অবিস্মরণীয় জয় তুলে নেয় নেপাল। টি-টোয়েন্টি বিশ্ব আসরের অভিষেক ম্যাচে এমন জয়ে আনন্দে আত্মহারা তারা।

অন্যদিকে ধারাবাহিকভাবে প্রস্তুতি ম্যাচে জিতে হংকংয়ের আত্মবিশ্বাস ছিলো তুঙ্গে। বিশ্বকাপ আসরের অভিষেক ম্যাচে হেরে হতাশ হংকং।

ম্যাচ শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দু’দলের অধিনায়কও এমন অভিব্যক্তি তুলে ধরেন। নেপালের অধিনায়ক পরশ খড়কা বলেন,‘আমরা খুবই বিস্মিত। এটা ছেলেদের সম্মিলিত চেষ্টার ফসল। বিশ্ব আসরের অভিষেক ম্যাচে জিতে ছেলেরা ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। ’

নেপালের ১৪৯ রানের সংগ্রহের মধ্যে টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানরাই করেন ১২৪ রান। তবে রানের ভিত গড়ে দেয় জ্ঞানেন্দ্র মল্ল(৪৮) ও অধিনায়ক পরশ খড়কা(৪১)। অন্যদিকে হংকংকে ধসিয়ে দেওয়ার মূল কাজটি করেছেন বসন্ত রেজমি ও শক্তি গৌচান। রেজমি ৪ ওভারে ১৪ রানে ৩ উইকেট। গৌচানও চার ওভারে ৯ রানে পেয়েছেন ৩ উইকেট। দুর্দান্ত বোলিংয়ের কারণে ম্যাচ সেরা হন গৌচান। তাছাড়া নেপাল বোলাররা শেষ ১২ রানে সাত উইকেট তুলে নিয়ে ৬৯ রানেই হংকংকে আটকে দেন।  

তাই সাংবাদিক সম্মেলনে অধিনায়ক টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান ও দুই বোলারের প্রশংসা করতে ভুললেন না। বললেন,‘টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানরা খুবই ভালো করেছে। তাছাড়া শক্তি ও গৌচান দুর্দান্ত বল করেছে। তারাই মুলত জয়ের ভিত রচনা করেছে। ’

নেপাল অধিনায়ক বলেন,‘আমরা আমাদের শক্তি সম্পর্কে জানতাম। সম্মিলিতভাবে চেষ্টার ফলে প্রত্যাশিত ফল পেয়েছি আমরা। ’

১৮ মার্চ বাংলাদেশের বিপক্ষে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে মাঠে নামবে নেপাল। পরশ খড়কা বলেন,‘কোনো টেস্ট খেলুড়ে দলের সঙ্গে খেলতে নামাটা আমাদের জন্য নতুন অভিজ্ঞতা। আমরা খুব উপভোগ করবো। বাংলাদেশ খুবই ভালো দল। টি-টোয়েন্টিতে একটি ভুলই সব শেষ করে দিতে পারে। বাংলাদেশের বিপক্ষে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো। নিশ্চয় আজকের জয়ও প্রেরণা হিসেবে কাজ করবে সেদিন। ’

হংকংয়ের বিপক্ষে দুর্দান্ত জয় তুলে নিয়ে উইকেটের প্রশংসা করতে ভুললেন না নেপাল অধিনায়ক। বললেন, ‘উইকেট খুবই ভালো হয়েছে। আমরা যতটা প্রত্যাশা করেছিলাম তার চেয়েও ভালো হয়েছে। টি-টোয়েন্টি’র উপযোগী উইকেট হয়েছে এটি। ’

গ্যালারি ভর্তি সমর্থকদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানান পরশ খড়কা। বললেন,‘বিদেশের মাঠিতে এত সমর্থক আমাদের অভিভুত করেছে। তারাও এ জয়ের প্রেরণার অংশ। ’

অন্যদিকে প্রস্তুতি ম্যাচে দু’টি এবং বিশ্বকাপের বাছাইপর্বের প্লে-অফে দুটি ম্যাচে জিতে আত্মবিশ্বাসে চাঙ্গা ছিল হংকং। বিশ্ব আসরের অভিষেক ম্যাচে নেপালের কাছে হেরে খুবই হতাশ তারা।

ম্যাচ শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে হংকং অধিনায়ক জেমি অ্যাটকিনসন বলেন,‘১৪৯ রান জয়ের জন্য খুব বেশি রান নয়। কিন্তু ব্যাটিং বিপর্যয়ের কারণে আমরা পারিনি। আমাদের জয়ের একটা ধারাবাহিকতা ছিল। সেটা আমরা ধরে রাখতে পারিনি। এটা খুবই হতাশাজনক। হংকংয়ের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ ছিল এটি। কিন্তু ব্যাটিং ব্যর্থতার কারণে আমরা পারিনি। সামনের দুটি ম্যাচ ভালো করার চেষ্টা করবো। ’

হংকং কোচ চার্লি বার্ক বলেন,‘আমাদের সবকিছু উল্টে পেলতে হবে। আমরা আমাদের ভুলভ্রান্তিগুলো চিহ্নিত করতে পেরেছি। আগামীতে আমরা ভালো খেলে দেখিয়ে দিব হংকং এতটা খারাপ দল নয়। ’

বাংলাদেশ সময়: ০২০৯ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।