সিলেট থেকে: টি-টোয়েন্টিতে যে কোনো কিছু সম্ভব। সেটা ক্রিকেটে প্রমাণ করে দিল টোটাল ফুটবলের প্রবর্তক দেশ নেদারল্যান্ডস।
শুক্রবার সিলেট বিভাগীয় স্টেডিয়ামে চার ছয়ের উদযাপন করতে করতে বাদকদলের হাসফাঁস অবস্থা। আর ক্রিকেট পাগল দর্শকদের উল্লাস ছিল দেখার মতো। চৈত্রের দাবদাহও দমিয়ে রাখতে পারেনি তাদের।
দলকে সমর্থন দিতে এদিন চলে এসেছিল জন পঞ্চাশেক ডাচ তরুণ-তরুণী। তারাও বুঝতে পারেনি মাইবুর্গ, কুপার ও বারেসি কী করতে যাচ্ছেন। কেউই হয়তো ভাবেনি নতুন করে ইতিহাস গড়তে যাচ্ছে কমলা রঙে রঙিন দলটি।
লং অন দিয়ে ছক্কা মারতে পছন্দ করা স্টিফান মাইবুর্গ দ্বিতীয় ওভারে টানা তিনবার ডিপ মিডউইকেট দিয়ে বল আছড়ে ফেললেন। আর চতুর্থ ওভারেও টানা তিনবার বল পাঠালেন একবারে সীমানার ওপারে।
গড়ে ফেললেন টি-টোয়েন্টির দ্রুততম দ্বিতীয় ফিফটির কীর্তি। ক্যারিবীয় ব্যাটিং তারকা ক্রিস গেইলের ছায়া পড়েছিল তার উপর। তাকে আউট করে তাই উল্লাসে মেতেছিল আইরিশরা।
কিন্তু সেখানেই শেষ নয়, এলেন টম কুপার। গেইলের মারকুটে ব্যাটিং ভর করল তার উপরও। মাত্র ১৫ বলে ছয়টি ছয়ে ও একটি চারে ৪৫ রানে আউট হলেন তিনি। আইরিশরা যে হারতে যাচ্ছে তখন জানাই, অন্যদিকে তখনও কপালের ভাঁজ পড়ে যায়নি জিম্বাবুয়ের। শেষ অবধি তাদেরকে দেশেই ফেরত পাঠাল ওয়েসলি বারেসির অসাধারণ কীর্তি।
টিম মুরতাঘের নাক বরাবর একটা ছয় মারলেন। ছয় বলে সাত রান দরকার তখনও। ইয়র্কারে কোনো রান নিতে পারলেন না। চতুর্থটি ফুলটসে এক্সট্রা কভার দিয়ে চার। পরেরটি ডিপ মিডউইকেট দিয়ে বিশাল ছক্কা মেরে দুই দলকে বাড়ি পাঠিয়ে দিলেন বারেসি। ২২ বলে তিনটি করে চার ও ছয়ে ৪০ রানে অপরাজিত এই বিধ্বংসী ব্যাটসম্যান।
বি গ্রুপের কঠিন লড়াইয়ে ছয় উইকেটে জিতে ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা ও দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গী হলো তারা।
ডাচদের পরের পর্বের প্রথম ম্যাচ ২৪ মার্চ, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। ২৭ মার্চ দক্ষিণ আফ্রিকা, ২৯ মার্চ নিউজিল্যান্ড ও ৩১ মার্চ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে।
বাংলাদেশ সময়: ২১২০ ঘণ্টা, ২১ মার্চ ২০১৪