ঢাকা: এশিয়ার দলগুলোর মধ্যে ভারতের শক্তি ব্যাটিংয়ে, পাকিস্তানের বোলিংয়ে।
এই মুহূর্তে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাটিংয়েই শক্তি দেখিয়েছে।
এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম একমাত্র দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কা। বোলিং, ব্যাটিং ও ফিল্ডিং সব বিভাগে সমান শক্তি রয়েছে তাদের। ব্যাটিংয়ে নির্ভরতার প্রতীক কুমার সাঙ্গাকারা ও জয়াবর্ধনে। এর সঙ্গে পেরেরা, ম্যাথিউস ও চান্দিমালের মতো তরুণ ব্যাটসম্যানরাও সমানতালে সাঙ্গাকারা ও জয়াবর্ধনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে খেলে যাচ্ছেন। বোলিং তো আরো বৈচিত্র্যময়!
টি২০-তে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি উইকেট নেওয়া বোলার লাসিথ মালিঙ্গাকে সঙ্গ দিতে রয়েছে ম্যাথিউস ও কুলাসেকারার মতো বোলার। এর সঙ্গে অজন্তা মেন্ডিস ও রঙ্গনা হেরাথের ঘূর্ণিবল।
সর্বশেষ টি২০-এর দেখায়ও লঙ্কানরা বধ করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকাকে। এটিও অনুপ্রেরণাদায়ক হবে খেলোয়াড়দের জন্য। এই মুহূর্তে শ্রীলঙ্কাকে সবচেয়ে বেশি ভাবাচ্ছে ওপেনিং ব্যাটসম্যান তিলকরাত্মে দিলশানের রান খরা। শুরুতে দিলশান যেভাবে প্রতিপক্ষ বোলারদের ওপর চড়াও হয়ে দলের রানরেট বাড়িয়ে নেন, তা পরবর্তীতে ব্যাটসম্যানদের জন্য প্লাস পয়েন্ট।
যোগ-বিয়োগ যাই করা হোক না কেন, সর্বশেষ ম্যাচ বাদ দিলে এর আগের সবগুলো টি২০ ম্যাচেই শ্রীলঙ্কা দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে পরাস্ত হয়েছে।
শ্রীলঙ্কাকে যদি ব্যালান্সড দল বলা হয়, তাহলে দক্ষিণ আফ্রিকাকে শক্ত প্রতিপক্ষ হিসেবে মানতেই হবে। কারণ, তাদের দলে রয়েছে ডেল স্টেইনের মতো পেস বোলার; যার একটি মাত্র স্পেলে প্রতিপক্ষের সব হিসাব-নিকাশ পাল্টে যেতে বাধ্য। যদিও ডেলের ইনজুরির কারণে তার খেলা এখনো নিশ্চিত নয়।
স্টেইনই শুধু নয়, মরকেলের মতো বোলিং অলরাউন্ডার ও অ্যারনের মতো বোলারও খুবই দক্ষ। উপমহাদেশের কন্ডিশনে ইমরান তাহিরের মতো স্পিনারও রয়েছেন। ওদের ব্যাটিং-শক্তি সম্পর্কে সবাই ওয়াকিবহাল। বিশেষ করে হাশিম আমলা একজন সত্যিকার ম্যাচ উইনার। ব্যাটিং লাইনের অন্যতম শক্তি এ বি ডি ভিলিয়ার্স, মিলার, ডুমিনির সঙ্গে লোয়ার অর্ডারে মরকেলের মতো অলরাউন্ডার ম্যাচের ফলাফল বদলে দিতে সক্ষম।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদের উইকেটের সবুজ ঘাস মুখে হাসি এনেছে দিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক ডু প্লেসিসের। উত্তেজনার ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে জমজমাট লড়াই আশা করেছিলেন দর্শকরা। শুক্রবারের একপেশে ম্যাচে হতাশ হলেও আজ চট্টগ্রামে শেয়ানে-শেয়ানে লড়াই হবে-এমনটা বলাই যায়।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩০ ঘণ্টা, মার্চ ২২, ২০১৪