ঢাকা: টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে এখন পর্যন্ত কোনো ক্রিকেটার যে কীর্তি গড়তে পারেননি, তা করে দেখানোর সাহস দেখিয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। কিন্তু খুব কাছে গিয়েও সুযোগ হল না সে কীর্তি গড়ার।
তিন ম্যাচ টেস্ট সিরিজে ২৫০ রানের বেশি এবং সাথে ২০টি উইকেট নিয়ে সাকিব আইসিসির রেকর্ড বুকের আরেকটি নতুন পাতা খুলতে পারতেন। যা বিশ্বের কোনো অলরাউন্ডার করে দেখাতে পারেননি। কিন্তু দলের প্রয়োজনে বল হাতে নেয়ার আগেই জিম্বাবুয়ে অলআউট হয়ে যায়। ফলে, সাকিবেরও বাকি কাজ টুকু সম্পন্ন করা হলনা।
খুলনা টেস্টেই টেস্ট ক্রিকেটের ঐতিহাসিক এক রেকর্ডের খাতায় নাম লিখিয়েছিলেন বাংলাদেশের ক্রিকেট প্রাণ সাকিব আল হাসান। এক টেস্টে শতকসহ দশ উইকেট দখল করে তিনি এ রেকর্ড বুকে জায়গা করে নেন।
তবে, এক সিরিজে কমপক্ষে ২৫০ রান ও ২০ উইকেটের মালিক এর আগেই ২৩ জন হয়েছেন। তবে তারা কেউ এই কৃতিত্ব ৩ ম্যাচের ছোট্ট সিরিজে করতে পারেননি।
সাকিব আল হাসান ঢাকায় প্রথম টেস্টে রান করেন ৫ ও ১৫। আর উইকেট নেন ৬টি এবং একটি। এরপর খুলনা টেস্টে মহাকাব্য রচনা করে প্রথম ইনিসে করেন ১৩৭ রান। দ্বিতীয় ইনিংসে জ্বলে উঠতে না পারায় করেন ৬ রান। আর সেই টেস্টের দুই ইনিংসেই নেন ৫টি করে উইকেট।
সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টেস্টে সাকিব প্রথম ইনিংসে করেন ৭১ রান আর দ্বিতীয় ইনিংসে করেন ১৭ রান। প্রথম ইনিংসে একটি উইকেট পেলেও পরের ইনিংসে কোনো উইকেট নেওয়ার সুযোগ পাননি। ফলে, রেকর্ড ২০টি উইকেটের কোটা থেকে দুটি উইকেট কম হয় সাকিবের ঝুলিতে।
কিন্তু তারপরও বসুন্ধরা সিমেন্ট বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে টেস্ট সিরিজের প্লেয়ার অব দ্য সিরিজ নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ক্রিকেট বিজ্ঞাপন সাকিব আল হাসান।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০০ ঘণ্টা, ১৬ নভেম্বর ২০১৪