চট্টগ্রাম থেকে: তিন ম্যাচ টেস্ট সিরিজে স্বাগতিক বাংলাদেশের কাছে হোয়াইটওয়াশের পর বিসিবি একাদশের বিপক্ষেও হারল জিম্বাবুয়ে। সফরকারীদের বিপক্ষে সহজ জয় তুলে নিল বিজয়-নাসির-শামসুর-শফিউলরা।
এর আগে সফরকারী জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বেশ ভালই ব্যাটিং করেছে বিসিবি একাদশ। উল্টো করে বলা যায় প্রস্তুতি ম্যাচে বোলিং আর ফিল্ডিংয়ে বেশি সুবিধা আদায় করতে পারল না সফরকারীরা। আর নিজেদের ব্যাটিংটাও ঝালিয়ে নিতে ব্যর্থ হলো জিম্বাবুয়ানরা।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে বিসিবি একাদশের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় জিম্বাবুয়ে। আগে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে বিসিবি একাদশ ২৮২ রান তোলে।
বিসিবি একাদশের হয়ে সর্বোচ্চ রান আসে জাতীয় দলের ওয়ানডে স্কোয়াড থেকে বাদ পড়া নাসির হোসেনের ব্যাট থেকে। ডানহাতি এ ব্যাটসম্যান করেন ইনিংস সর্বোচ্চ ৬১ রান। ৬২ বলে ৩টি চার আর ২টি ছয়ে নাসির তার ইনিংসটি সাজান।
এছাড়া দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৯ রান করেন ওপেনিংয়ে নামা শামসুর রহমান। শুভাগত হোম করেন ৪০ রান। তবে, শেষ দিকে ১৬ বলে ৩৩ রানের একটি ঝড়ো ইনিংস খেলেন আবুল হাসান। ইনিংসটি সাজাতে তিনি ৪টি ছক্কা হাঁকান।
এ ম্যাচে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়েছিলেন জাতীয় দলের স্কোয়াডে থাকা আনামুল হক বিজয় এবং সাব্বির রহমানের। আনামুল ১৩ রান এবং ২২ রান করে আউট হন।
সফরকারীদের হয়ে ৪টি উইকেট তুলে নেন ভুসি সিবান্দা। এছাড়া দুটি করে উইকেট নেন মাদজিভা এবং নাইম্বু।
দ্বিতীয় ইনিংসে ২৮৩ রানের জয়ের টার্গেটে ব্যাট করতে নামে জিম্বাবুয়ে। ৪৫.৩ ওভার খেলে ১৯৪ রানে গুটিয়ে যায় সফরকারীরা।
দলের হয়ে সর্বোচ্চ রান করেন তিমিসেন মারুমা। ৭৯ বল থেকে ৪টি চার হাঁকিয়ে শফিউল ইসলামের বলে রনি তালুকদারের হাতে ধরা পড়ার আগে তিনি এ রান করেন। এছাড়া দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৪ রান করে সাব্বির রহমানের বলে নাসিরের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন সিকান্দার রাজা।
বাংলাদেশের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন শফিউল ইসলাম, মোহাম্মদ শহিদ, আবুল হাসান এবং সাব্বির রহমান। এছাড়া একটি করে উইকেট পান মুক্তার আলি ও নাসির হোসেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০০ ঘণ্টা, ১৯ নভেম্বর ২০১৪
** জিম্বাবুয়েকে ২৮৩ রানের টার্গেট দিয়েছে বিসিবি