মেলবোর্নে যা ঘটেছে তা নিঃসন্দেহে দুঃখজনক ও অনভিপ্রেত। যে ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে তা ভালোবাসা থেকে আর ভালোবাসার দলের ‘পারসিভড’ ব্যর্থতা জনিত হতাশা থেকেই ঘটেছে বলে আমাদের বিশ্বাস ।
প্রত্যক্ষদর্শী শফিক থেকে পুরো ঘটনা জানা যায় ঘটনাটি ছিল এরকম, অধিনায়ক মাশরাফি আরো কয়েকজন দলের সদস্যকে নিয়ে হান্টিংডেলের বাংলাদেশী মসজিদে গিয়েছিলেন জুম্মার নামাজ পড়তে। সেখানে জনৈক বয়স্ক বাংলাদেশি ‘ম্যাশ’কে কিছু প্রশ্ন করেন। সেই প্রশ্নের উত্তরও ‘ম্যাশ’ দিয়েছিলেন পুরোপুরি ভদ্রতা বজায় রেখে। তারপর উনি দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ দলের কাছে অনেক আশা করেও কিছু পাচ্ছেন না অভিযোগ করে তার নিজের ব্যক্তিগত ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
আমাদের বিশ্বাস, যিনি এই ঘটনার সাথে জড়িত তিনি নিজেও এমন অসাবধানী আউটবার্স্টের জন্য তিনি নিজেও বিষন্ন।
কিছু কিছু সংবাদমাধ্যম ও ব্যাক্তিবিশেষ এই ঘটনার অতিরঞ্জিত বিবরণ ছেপে মেলবোর্নের বাঙ্গালী কমিউনিটিতে অনিচ্ছাকৃতভাবে হলেও বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে এবং ক্ষোভের ইন্ধন দিচ্ছে। এমনকি কোন কোন সংবাদমাধ্যম বলছে ঘটনাটি হাতাহাতি পর্যন্ত গড়িয়েছে যা একেবারেই অসত্য। এ ধরণের অসত্য অনুমাণনির্ভর ও বিভ্রান্তিকর সংবাদ না প্রকাশ করার জন্য সবাইকে মেলবোর্ন প্রবাসি বাংলাদেশীদের পক্ষ থেকে সনির্বন্ধ অনুরোধ করছি।
এই ঘটনাটি ছিল একেবারেই অনিচ্ছাকৃত, অপরিকল্পিত ও তাৎক্ষনিক ভাবাবেগের বহিঃপ্রকাশ। এটি কোন সংঘবদ্ধ ঘটনা ছিল না।
মেলবোর্ন প্রবাসী বাংলাদেশিদের পক্ষ থেকে-
ডাঃ আহমেদ শরিফ শুভ
এ কে এম ইমরান
নকীব রহমান
বাংলাদেশ সময় ১৭৩৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১৫