ঢাকা: গত ত্রিশ বছরের ইতিহাসে অস্ট্রেলিয়া বা সিডনির মাঠে বড় কোনো ম্যাচে তারা উপস্থিত ছিলেন না, এটা ছিল কল্পনাতীত। অস্ট্রেলিয়ায় ক্রিকেট ধারাভাষ্যের যুগপুরুষ বলা হয় এই ‘চতুষ্টয়কে’।
আর ২৩ বছর পর নিজেদের উপমহাদেশে ফেরা ক্রিকেটের সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়া-ভারত হাইভোল্টেজ ম্যাচে ধারাভাষ্যকার হিসেবে রাখা হয়নি-টনি গ্রেগ, বিল লরি, রিচি বেনো, ইয়ান চ্যাপেলকে।
এ চারজনের মধ্যে বেঁচে নেই গ্রেগ। তার মৃত্যুর পর সিডনির মাঠে এই প্রথম বড় কোনো ম্যাচ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
ত্বকের ক্যান্সারে ভুগছেন পঁচাশি বছর বয়সী রিচি বেনো। কমেন্ট্রির জন্য একটি চ্যানেল থেকে বেনোকে ব্ল্যাঙ্ক চেকও দিয়ে রাখা ছিল।
অনেক অনুরোধের পর ভারতের বিপক্ষে মেলবোর্ন টেস্টে কমেন্ট্রি করেছিলেন বিল লরি। কিন্তু মেলবোর্ন বিশ্বকাপের আর কোনো ম্যাচে মাঠেই আসেননি তিনি। ৭৮ বছর বয়সী লরিকে আর কখনও সিডনিতে দেখা যাবে বলে মনে হয় না।
একাত্তর বছরেও সম্পূর্ণ সুস্থ এবং প্রাণবন্ত। কিন্তু একরকম বাধ্য হয়ে বিশ্বকাপ কমেন্ট্রি থেকে নাম তুলে নিয়েছেন ইয়ান চ্যাপেল। স্টার টিভির হয়ে ধারাভাষ্য দিতে হলে তাকে ভারতীয় বোর্ডের শর্ত মেনে কমেন্ট্রি করতে হতো। চিরবিদ্রোহী চ্যাপেল যা মানতে রাজি নন।
শ্রীনিবাসনের সময়ে ভারতীয় বোর্ডের ভাষ্যকারদের ওপর চাপানো শর্তগুলো হল-বোর্ডবিরোধী কোনো সমালোচনা করা যাবে না, ডিআরএস নিয়ে কোনো আলোচনা করা যাবে না, ক্যাপ্টেনের কড়া সমালোচনা করা যাবে না (যেমন ভুল ক্যাপ্টেন্সির জন্য টিমের পরাজয়), দল নির্বাচন সংক্রান্ত পর্যবেক্ষণ চলবে না (এর জায়গায় অন্যকে নিলে ভালো হতো)।
সবসময় বিদ্রোহী চ্যাপেলের মনে হয়েছে এটা কার্যত দাসখত লিখে দেওয়া। এত নিষেধাজ্ঞা নিয়ে দায় পড়েনি কমেন্ট্রি করার।
শ্রীনির ডিআরএস নীতির চূড়ান্ত সমালোচক ছিলেন টনি। শেষদিকে তাই ভারতীয় বোর্ড ধারাভাষ্য দিতে তাকে ডাকত না।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৫ ঘণ্টা, মার্চ ২৬, ২০১৫