সিলেট: উল্লোসে মাতোয়ারা পুরো সিলেট। টাইগারদের এগিয়ে যাওয়ার স্লোগানে পুরো নগরীকে মুখর করে তুলেছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা।
বৃহস্পতিবার (৫মার্চ) দুপুরে হরতালের আতঙ্ককে পাশ কাটিয়ে সিলেটে টাইগারদের সমর্থনে বের হয় বিজয় মিছিল-মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা।
জাতীয় পতাকা হাতে নগরীর সিটি সেন্টার থেকে বের হওয়া মোটরসাইকেল শোভাযাত্রাটি চৌহাট্টা ও বারুতখানা পয়েন্ট ঘুরে আবার একইস্থানে গিয়ে শেষ হয়। এছাড়া, সিলেটের পাড়া-মহল্লায়ও বিভিন্ন বয়সের উৎসুক জনতা আনন্দ মিছিল বের করেন।
বৃহস্পতিবার খেলার শুরু থেকেই বিশ্বকাপে বাংলাদেশের টিকে থাকার প্রত্যাশা ছিল সকলের। সেই প্রত্যাশা প্রাপ্তিতে রূপ নিয়েছে। তাই ক্রিকেটপ্রেমীদের মুখে ফুটে ওঠেছে বিজয়ের অভিব্যক্তি।
সিলেট নগরীর মজুমদারী এলাকার ইমরান আহমদ বাংলানিউজকে বলেন, টাইগাররা যখন বড় স্কোর তাড়া করে খেলছিল, তখন বুক ধড়ফড় করছিল। তবে জেতায় আমি খুব খুশি হয়েছি। খেলা শেষ হওয়া পর্যন্ত টেলিভিশনের সামনে ছিলাম।
সিলেটের তালতলা এলাকার বাসিন্দা হোটেল শ্রমিক সাহেদ আহমদ বলেন, বাংলাদেশের খেলা দেখার জন্য খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠে যাই।
ম্যাচটি নিয়ে এত আগ্রহ ছিল যে, নিজের কর্মস্থলেও আজ যাননি সাহেদ। বলেন, খেলা দেখার জন্য এক দিনের ছুটি নিয়েছি। ছুটি সার্থক হয়েছে। যত বেশি রানই হোক, বাংলাদেশ তাড়া করে জিততো।
টাইগারদের বিজয়ে খুশি নগরীর বড়বাজার এলাকার নুর হোসেন রাব্বি, খাসদবির এলাকার মাসুম ও বাগবাড়ি এলাকার ইমরান আহমদও। এই তিন সতীর্থ সকাল থেকে একসঙ্গে খেলা উপভোগ করেছেন। তাদের মতে, বিশ্বকাপে বাংলাদেশ না থাকলে, খেলা দেখার আগ্রহ নষ্ট হয়ে যেতো।
বিসিবির মেডিকেল কমিটির চেয়ারম্যান ও সিলেট বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক শফিউল আলম নাদেল বাংলানিউজকে বলেন, বাংলাদেশ দলের বিজয়ে আমরা নতুনভাবে উজ্জীবিত হয়েছি।
এই ম্যাচটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা একটি বড় বাধা পেরিয়েছি। এবার দৃঢ়ভাবে ইংল্যান্ডের সঙ্গে মোকাবেলা করতে হবে।
বাংলাদেশ দল বিজয়ী হওয়ায় তিনি নিজেও একটি আনন্দ মিছিল বের করেন বলে জানান।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪২ ঘণ্টা, মার্চ ০৫, ২০১৫