ঢাকা: দ্বিতীয় দফায় বৃষ্টির ব্যাঘাত শেষে আবারও মাঠে গড়িয়েছে পাকিস্তান-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচ। ম্যাচ রেফারি প্রতি ইনিংস থেকে ৩ ওভার করে কর্তন করেছেন, ফলে প্রতি ইনিংসে খেলা হবে ৪৭ ওভার।
এর আগে প্রথম দফায় বৃষ্টির কারণে প্রায় আধঘণ্টা বন্ধ থাকার পর দক্ষিণ আফ্রিকা-পাকিস্তানের মধ্যকার ম্যাচটি শুরু হয়। এরপর দ্বিতীয় দফায় ৩ ওভার পর আবার বৃষ্টি নামায় ম্যাচটি বন্ধ হয়ে যায়।
ম্যাচের ৩৭.২ ওভার শেষে পুরো অকল্যান্ডজুড়ে বৃষ্টি নেমে আসে। বৃষ্টি থেমে গেলে আবার খেলা শুরু হওয়া পর ৪০.১ ওভারে আবারও ম্যাচে ব্যাঘাত ঘটায় বৃষ্টি। ক্রিজসহ পুরো মাঠ কাভারে ঢেকে দেন গ্রাউন্ডসম্যানরা।
দ্বিতীয় দফায় ব্যাট করতে নামার পর পাকিস্তানের অধিনায়ক মিসবাহ উল হক তুলে নেন চলতি বিশ্বকাপে তৃতীয় অর্ধশতক। বৃষ্টিতে ম্যাচ বন্ধ হয়ে যাওয়ার আগে পাকিস্তানের সংগ্রহ ৪০.১ ওভার শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৯৭ রান।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৪১ ওভার শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে পাকিস্তানের সংগ্রহ ২০৫ রান।
শনিবার (৭ মার্চ) বাংলাদেশ সময় সকাল ৭টায় নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ডের ইডেন পার্কে শুরু হওয়া এ ম্যাচে টস পরীক্ষায় হেরে যান পাকিস্তানি অধিনায়ক মিসবাহ উল হক। টসজয়ী প্রোটিয়া দলপতি এবি ডি ভিলিয়ার্স তাদের ব্যাটিংয়ে পাঠান।
পাকিস্তানের হয়ে প্রথমে ব্যাট করতে নামেন আহমেদ শেহজাদ ও সরফরাজ আহমেদ। এ দু’জনের জুটি তুলে নেয় ৩০ রান। কাইল অ্যাবটের বলে ডেল স্টেইনের বলে দুর্দান্ত ক্যাচে শেহজাদ (১৮) সাজঘরে ফিরলে ক্রিজে আসেন ইউনিস খান।
এ দু’জনের জুটি তুলে নেয় ৬২ রান। তবে বিপজ্জনক হয়ে ওঠা এ জুটি ভাঙেন ডেভিড মিলার। তার দুর্দান্ত থ্রোতে রান আউট হয়ে সাজঘরের পথ ধরেন অর্ধশতক বঞ্চিত সরফরাজ (৪৯)।
এরপর ব্যাট করতে নামা দলপতি মিসবাহ উল হককে নিয়ে ইউনিস খান পার্টনারশিপ গড়ে তুলে রান বাড়ানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু প্রোটিয়া অধিনায়ক এবি ডি ভিলিয়ার্সের বলে রুশোর হাতে ক্যাচ দিয়ে ইউনিসও (৩৭) ফিরে গেলে ৪০ রানে ভেঙে যায় সে জুটি। এরপর শোয়েব মাকসুদ ক্রিজে এসে মিসবাহ উল হকের সঙ্গে জুটি বাঁধার চেষ্টা করলেও আগের ম্যাচগুলোর মতোই এবারও ব্যর্থ হন তিনি। অ্যাবোটের বলেই রুশোকে অনেকটা ক্যাচ প্র্যাকটিস করিয়ে সাজঘরে ফেরেন মাকসুদ (৮)।
মাকসুদের বিদায়ের পর নামেন পাকিস্তানি ব্যাটিংয়ের অন্যতম ভরসা উমর আকমল। কিন্তু সমর্থকদের হতাশ করে সাজঘরের পথ ধরেন তিনিও। মরনে মরকেলের বলে এবি ডি ভিলিয়ার্সের হাতে ক্যাচ দেওয়ার আগে ১৩ রান সংগ্রহ করেন উমর।
এই ম্যাচ পাকিস্তানের জন্য অনেক দিক থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এবারের বিশ্বকাপে বড় দলের বিপক্ষে জয় নেই ৯২’র চ্যাম্পিয়নদের। তাই দলটির আত্মবিশ্বাসও তলানীতে। জিম্বাবুয়ে ও আরব আমিরাতের বিপক্ষে প্রত্যাশিত জয়ে শেষ আটে ওঠার লড়াইয়ে টিকে রয়েছে মিসবাহ-উল-হকের দল। এই ম্যাচে হারলে তাদের বিদায়ের অংক কষতে হবে।
অন্যদিকে দুর্দান্ত ফর্ম আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছে প্রোটিয়াদের। ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিং এ তিন ক্ষেত্রেই পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। বিশ্বকাপ ইতিহাসও প্রোটিয়াদের পক্ষে। টানা তিন বিশ্বকাপে (১৯৯২-৯৯) পাকিস্তানের মুখোমুখি হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। একবারও হারেনি বড় আসরের ‘চোকার’রা।
দক্ষিণ আফ্রিকা দলে একটি পরিবর্তন হলেও দু’টি পরিবর্তন এসেছে পাকিস্তান একাদশে। প্রোটিয়াদের হয়ে ফারহান বাহারদিয়েনের পরিবর্তে নেমেছেন ইনজুরি ফেরত জেপি ডুমিনি। আর পাকদের পক্ষে হারিস সোহেল ও নাসির জামশেদের পরিবর্তে নেমেছেন যথাক্রমে ইউনিস খান ও সরফরাজ আহমেদ।
পাকিস্তান একাদশ
আহমেদ শেহজাদ, সরফরাজ আহমেদ, ইউনিস খান, মিসবাহ-উল-হক (অধিনায়ক), উমর আকমল (উইকেটরক্ষক), শহীদ আফ্রিদি, শোয়েব মাকসুদ, ওয়াহাব রিয়াজ, সোহেল খান, রাহাত আলি ও মোহাম্মদ ইরফান।
দক্ষিণ আফ্রিকা একাদশ
হাশিম আমলা, কুইন্টন ডি কক (উইকেটরক্ষক), ফাফ ডু প্লেসিস, এবি ডি ভিলিয়ার্স (অধিনায়ক), ডেভিড মিলার, জেপি ডুমিনি, রিলি রুশো, কাইল অ্যাবোট, ডেল স্টেইন, মরনে মরকেল ও ইমরান তাহির।
বাংলাদেশ সময়: ১১০৪ ঘণ্টা, মার্চ ০৭, ২০১৫
** পাকিস্তান-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচে আবারও বৃষ্টি
** বৃষ্টি বাগড়ার পর ফের ম্যাচ শুরু
** পাকিস্তান-দক্ষিণ আফ্রিকা খেলায় বৃষ্টির বাগড়া
** সাজঘরে উমর, নামলেন আফ্রিদি
** ইউনিসের পর ফিরলেন মাকসুদও
** সাজঘরে ইউনিস, নিয়ন্ত্রিত বোলিং প্রোটিয়াদের
** অর্ধশতক বঞ্চিত হয়ে সাজঘরে সরফরাজ
** অ্যাবট-স্টেইন ফেরালেন শেহজাদকে
** প্রোটিয়াদের নিয়ন্ত্রিত বোলিং
** ব্যাটিংয়ে নেমেছেন সরফরাজ-শেহজাদ
** টসে হেরে ব্যাটিংয়ে পাকিস্তান
** পাকিস্তানের বাঁচা-মরার, প্রোটিয়াদের এগিয়ে যাওয়ার লড়াই