ঢাকা: বিশ্বকাপে স্বাগতিক দুই দেশ অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের বাউন্সি উইকেটকে ব্যাটসম্যানদের জন্য হুমকি ভাবা হচ্ছিলো। বিশ্বকাপ শুরু হতেই দেখা গেল উল্টো চিত্র।
সিডনি, মেলবোর্ন, নেলসন কিংবা ক্রাইস্টচার্চ যেখানেই হোক না কেন মাঠের উইকেট ব্যাটিং সহায়ক হবে-চোখের দেখায় এটা আগে থেকে ঘোষণা দিয়ে ফেলা সহজ নয়। সেই কাজটি সহজেই করে ফেললেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ন ম্যাচের আগে রোববার মাশরাফি একাধিকবার উইকেট পর্যবেক্ষণ করেছেন। সঙ্গে ছিলেন কোচ হাতুরুসিংহে। উইকেট দেখে মাশরাফির মন্তব্য, ‘উইকেট ফ্ল্যাট, পুরোপুরি ব্যাটিং সহায়ক উইকেট বলতে যা বোঝায়। ২৭০-২৮০ রান চ্যালেজ্ঞিং স্কোর হতে পারে। ’
বাংলাদেশ-ইংল্যান্ড ম্যাচের ভেন্যু অ্যাডিলেড ওভালকে আগেভাগেই বলা হচ্ছে- এটা হবে ব্যাটসম্যানদের জন্য স্বর্গভূমি। তার যথেষ্ট কারণও রয়েছে।
এ মাঠের আউটফিল্ড অত্যন্ত দ্রুতগতির। অস্ট্রেলিয়ার অন্যান্য মাঠের তুলনায় এ মাঠের সীমানাও অনেকাংশে ছোট। উইকেট থেকে লেগ ও অফসাইড বাউন্ডারির দূরত্ব মাত্র ৫৪ মিটার। বিশ্বকাপ শুরুর দিকে এ মাঠেই লড়েছিল ভারত-পাকিস্তান। সে ম্যাচে আগে ব্যাট করে ৩০০ রান তুলেছিল ভারত।
এ মাঠের সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড ওয়েস্ট ইন্ডিজের। ২০০৫ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৫০ ওভার ব্যাট করে চার উইকেটে ৩৩৯ রান করেছিল ক্যারিবীয়রা।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৩ ঘণ্টা, ০৮ মার্চ, ২০১৫