ঢাকা: স্বপ্ন দেখার শুরু ১৯৯৯ সাল থেকে-যখন প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ আসরে অংশ নেয় বাংলাদেশ। প্রথম বিশ্বকাপেই টপ ফেভারিট পাকিস্তানকে হারিয়ে দিয়ে বাংলার টাইগাররা নিজেদের শক্তি-সামর্থ্যের কথা জানান দেন বিশ্ব দরবারে।
এবারের সাফল্য অনেক বড়। বিশ্বকাপে শক্তিধর ইংল্যান্ডকে ১৫ রানে হারিয়ে স্বপ্নের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশ দল। তাইতো জয়োৎসবের মাত্রাটাও বেশি।
জয়ের সাথে সাথেই সোমবার উৎসবের রঙে মাতে ক্রিকেটপ্রেমী, দেশপ্রেমীরা। আজও হয়েছে উৎসব। রাজধানীর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে মঙ্গলবার সকালে নেচে-গেয়ে আনন্দ-বন্যায় ভাসেন শিক্ষার্থীরা। যোগ দেন সাধারণ মানুষরাও। বাদ্যশিল্পীরা ঢোল-বাঁশি বাজিয়ে সুরের মূর্ছনা তোলেন টিএসসি চত্বরে। তারুণ্যের উচ্ছ্বাস যেন ছুয়ে যায় প্রকৃতিকেও! ফাল্গুনের চকচকে রোদের সাথে মৃদু বাতাসে তারুণ্যের জয়োৎসব বাংলাদেশের ক্রিকেটকে ঘিরে। দেশের গর্বের ক্রিকেটারদেরও ঘিরে।
তরুণদের আনন্দ-উৎসব যেন ক্রিকেটারদের প্রতি শুভকামনারই অংশ। বাংলাদেশ দল কোয়ার্টার ফাইনালে জিতে সেমিফাইনালে উঠবে এমনটাই বিশ্বাস করেন উৎসবে যোগ দেয়া টাইগারভক্তরা। পুরো দেশের চাওয়াও মিলেছে এখানে। জাতি-ধর্ম-বর্ন নির্বিশেষে বাংলাদেশের মানুষ একটি চেতনায় এক ও অভিন্ন- সেটা আরেকবার প্রমাণ হলো বাংলাদেশের গর্বের জয়ে। সাবাশ বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৫ ঘণ্টা, মার্চ ১০, ২০১৫