ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

গ্রুপ পর্বেই ৩৫ শতক, ৭৫’এ ৬!

ওয়ার্ল্ড কাপ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৫৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০১৫
গ্রুপ পর্বেই ৩৫ শতক, ৭৫’এ ৬!

ঢাকা: বিশ্বকাপ ক্রিকেটের এগারোতম আসরের গ্রুপ পর্বের ৪২টি খেলা শেষ হয়েছে। ম্যাচগুলোতে ০.৮৩ গড়ে শতক হয়েছে ৩৫টি।

যেখানে ১৯৭৫ সালে ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠেয় প্রথম বিশ্বকাপ ক্রিকেটের পুরো আসরে শতক হয় মাত্র ছয়টি।

এবারের বিশ্বকাপে চার ম্যাচে টানা শতক হাঁকিয়ে একদিনের ক্রিকেটের পাশাপাশি বিশ্বকাপ ক্রিকেট ইতিহাসে অনন্য কৃতিত্ব অর্জন করেন ৩৭ বছর বয়সী শ্রীলঙ্কান বাঁহাতি ব্যাটসম্যান কুমার সাঙ্গাকারা।

বাংলাদেশের বিপক্ষে অপরাজিত ১০৫ রানের পর ইংল্যান্ডের বিপক্ষেও ১১৭ রানে অপরাজিত থাকেন সাঙ্গাকারা। পরের ম্যাচে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ১০৪ ও স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ১২৪ রান করে টানা চার শতক হাঁকানোর কৃতিত্ব দেখান তিনি।

আশ্চর্যজনক হলেও সত্যি এই, আইসিসির সহযোগী দেশ আফগানিস্তানের বিপক্ষেই সবচেয়ে কম ৭ রান করেন সাঙ্গাকারা। এছাড়া নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে করেন ৩৯ রান।

টুর্নামেন্টের গ্রুপ পর্বে টাইগার অলরাউন্ডার মাহামুদুল্লাহ, শ্রীলঙ্কার দিলশান, ভারতের শেখর ধাওয়ান, জিম্বাবুয়ের ব্রেন্ডন টেইলর দু’টি করে শতক হাঁকান। এর মধ্যে মাহামুদুল্লাহ ও টেইলরের রয়েছে টানা দুই শতক।

গ্রুপ পর্বের ৪২টি ম্যাচের মধ্যে যে ৩৫টি শতক হয়েছে তার মধ্যে ৮টিই শ্রীলঙ্কান ব্যাটসম্যানদের। সর্বোচ্চ শতক হাঁকানোর তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা, পাঁচটি। আর চারটি শতক নিয়ে তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে ভারত। তিনটি করে শতক নিয়ে যৌথভাবে চতুর্থ স্থানে রয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও অস্ট্রেলিয়া।

এছাড়া নিউজিল্যান্ড, পাকিস্তান, সংযুক্ত অঅরব আমিরাত এবং স্কটল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা একটি করে শতক হাঁকান।

১৯৭৯’র দ্বিতীয় বিশ্বকাপ আসরটিও বসে ইংল্যান্ডে। বোলারদের দাপটের ওই বিশ্বকাপে পুরো টুর্নামেন্টে মাত্র দু’টি শতক হয়। যা আসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটসম্যান গর্ডন গ্রিনিজ ও ভিভ রিচাডর্সের ব্যাট থেকে।

১৯৮৩’র বিশ্বকাপে শতক আসে আটটি। আর ১৯৮৭ সালে অনুষ্ঠেয় উপমহাদেশের প্রথম বিশ্বকাপে (ভারত ও পাকিস্তান) শতক হয় ১১টি। তবে পরবর্তী বিশ্বকাপে শতকের সংখ্যা আবারও কমে যায়। অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে অনুষ্ঠেয় ওই বিশ্বকাপে শতক হয় আটটি।

২০০৩ সালের বিশ্বকাপে শতকের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ২১টিতে। আর ২০০৭ সালে শতকের এ সংখ্যা দাঁড়ায় ২০টিতে।

তবে ২০১১ সালে উপমহাদেশের দ্বিতীয় বিশ্বকাপে (বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান) ব্যাটসম্যানদের শতক হাঁকানোর এ সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ২৪টিতে।

শতক হাঁকানোর আগের সব সংখ্যা ইতোমধ্যে পার করেছে এবারের বিশ্বকাপ। শতকের এ সংখ্যাটি কোথায় গিয়ে ঠেকে এখন তা দেখার বিষয়।

বাংলাদেশ সময়: ১২৫৬ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।