ঢাকা: গত বছর শুরুতে বাংলাদেশ দলের দলীয় পারফরমেন্স ছিল যাচ্ছেতাই। জয় যেন অধরাই হতে চলছিল টাইগার বাহিনীর।
গত বছর নিজেদের মাঠে বিশ্বকাপ টি-টোয়েন্টিতে ব্যর্থতার পর ভারতের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজে কোনো জয় পায়নি টাইগাররা। উল্টো টিম ইন্ডিয়ার বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচে মাত্র ৫৮ রানে অলআউট হওয়ার লজ্জা রয়েছে লাল-সবুজদের।
এরপর ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের তিন ওয়ানডে ম্যাচের তিনটিতেই হারে বাংলাদেশ। ক্যারিবীয় সে সফরের দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশ অলআউট হয় মাত্র ৭০ রানে।
সে বছরের নভেম্বর-ডিসেম্বরে ওয়ানডে ম্যাচে ঘরের মাটিতে জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা দেয় টাইগাররা। ৫ ম্যাচের ৫টিতেই জয় পায় লাল-সবুজরা।
তবে, বিশ্বকাপের দুটি আনঅফিসিয়াল প্রস্তুতি ম্যাচে হার দিয়ে শুরু করে মাশরাফি বাহিনী। আর অফিসিয়াল দুটি প্রস্তুতি ম্যাচেও পরাজয় বরণ করে পাকিস্তান এবং আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে।
বিশ্বমঞ্চে নিজেদের প্রথম ম্যাচে টাইগাররা ১০৫ রানে হারায় আফগানিস্তানকে। পরের ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে মাঠে নামতে মুখিয়ে থাকলেও বৃষ্টির কারণে ম্যাচটি পরিত্যক্ত হয়। আর নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৯২ রানের পরাজয় মেনে নেয় টাইগাররা।
গ্রুপ পর্বে নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে স্কটল্যান্ডকে ৬ উইকেটের ব্যবধানে হারানো বাংলাদেশ অনেকটা বলে-কয়ে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে আর নিজেদের শেষ ম্যাচে জয়ের কাছে গিয়েও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৩ উইকেটে হারে টাইগাররা।
কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ আরেক এশিয়ান দেশ ভারত। ভারতের বিপক্ষে জয়ের প্রতিটি ম্যাচেই ছিলেন টাইগারদের বর্তমান দলপতি মাশরাফি। কোয়ার্টার ফাইনালের এ ম্যাচটিকেও মাশরাফি নিয়েছেন বেশ গুরুত্বের সঙ্গেই। শিরোপা প্রত্যাশি এ ভারতকেই ২০০৭ সালের বিশ্বকাপে হারিয়েছিল টাইগাররা। হারিয়েছিল ২০১২ সালের এশিয়া কাপেও।
বর্তমান চ্যাম্পিয়ন টিম ইন্ডিয়ার বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচেও জয় ভিন্ন কিছু ভাবছে না টাইগাররা। দলপতি মাশরাফির কণ্ঠেও একই সুর। তিনি বলেন, আমরা সাফল্যের জন্য ক্ষুধার্ত। আমি আশাবাদি বাংলাদেশ দল তাদের নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবেই।
তিনি আরও যোগ করেন, দলের প্রত্যেক সদস্য ভারতের বিপক্ষে মাঠে নামার জন্য মুখিয়ে রয়েছে। তাদের প্রত্যেকেই এ ম্যাচের আগে বেশ উদ্দীপ্ত। আমরা পেশাদারী ক্রিকেট খেলেই জয় পেতে চাই। আর এটাই আমাদের সেরা সুযোগ নিজেদের সামর্থ্যের প্রমাণ দিয়ে বিশ্বকে দেখিয়ে দেওয়া। শীর্ষ দলগুলির কাতারেই থাকতে চাই আমরা।
ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম জয় ২০০৪ সালে। প্রতিবেশি দেশটির বিপক্ষে ২০০৭ বিশ্বকাপে (১৭ মার্চ) পোর্ট অব স্পেনে দ্বিতীয় জয় পায় টাইগাররা। তৃতীয় জয়টি আসে ২০১২ সালের ১৬ মার্চ মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে, এশিয়া কাপে।
বৃহস্পতিবার (১৯ মার্চ) মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে বিশ্বকাপের দ্বিতীয় কোয়ার্টার ফাইনালে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারতের বিপক্ষে লড়বে মাশরাফিরা। তিন জয়ের মধ্যে বাংলাদেশের দুটি জয়ই এসেছে মার্চ মাসে। স্বাধীনতার মাস এ মার্চেই আরেকটি জয় উপহার দিতে প্রস্তুত মাশরাফি বাহিনী।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৪ ঘণ্টা, ১৬ মার্চ ২০১৫