ঢাকা: ১৬ মার্চ, ২০০৭। বাংলাদেশ দল তখন বিশ্বকাপ খেলতে দক্ষিণ আফ্রিকার কুইন্স পার্ক ওভালে।
পৃথিবীর মায়া ছেড়ে অকালে পরলোকগমণ করেন জাতীয় দলের বাঁহাতি স্পিনার মানজারুল ইসলাম রানা। মাত্র ২২ বছর বয়সে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন বাংলাদেশের সম্ভাবনাময়ী এই স্পিনার।
খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার বালিয়াখালি ব্রিজের নিকট এক সড়ক দুর্ঘটনায় তিনি এবং তার ক্লাব সতীর্থ সাজ্জাদুল হোসেন সেতু নিহত হন। দুর্ঘটনার সময় রানা নিজেই মোটরসাইকেল ড্রাইভ করছিলেন।
সতীর্থের মৃত্যুর শোকে মুহ্যমান হয়ে পড়ে হাবিবুল বাশারের বাংলাদেশ দল। শোককে শক্তিতে পরিণত করে পরের দিন (১৭ মার্চ) ভারতের বিপক্ষে খেলতে নামে রফিক-আশরাফুল-বাশাররা। সে ম্যাচে তামিম, সাকিব ও মুশফিকের অসাধারণ তিন ফিফটিতে পাঁচ উইকেটের জয় পায় বাংলাদেশ। বাংলাদেশের সে জয়টি উৎসর্গ করা হয় রানার নামে।
আজ ১৬ মার্চ, ২০১৫। রানার মৃত্যুর আট বছর পেরিয়ে গেছে। অথচ রানা আছেন সবার মাঝে।
২০০০ সালের ২২ নভেম্বর প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে খুলনা বিভাগের হয়ে রানার অভিষেক ঘটে। ৩০ জানুয়ারি ২০০৩ এবং ৮ ফেব্রুয়ারি ২০০৫ এর মধ্যে রানা ঘরোয়া ক্রিকেট খেলেননি।
২০০৩ সালের ৭ নভেম্বর চট্টগ্রামে একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে রানার অভিষেক ঘটে। মোহাম্মদ রফিকের স্থলাভিষিক্ত হয়ে ওভারের তৃতীয় বলেই মাইকেল ভনকে আউট করেন। তিনি প্রথম বাংলাদেশী ক্রিকেটার যিনি তার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে প্রথম ওভারেই উইকেট নিয়েছেন। ২০০৪ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে রানার টেস্ট অভিষেক ঘটে। এ ম্যাচে তিনি ২০.২ ওভার বল করে ৬৬ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন। টেস্টে তার প্রথম শিকার শন আরভিন। এ ম্যাচের ১ম ইনিংসে অপরাজিত ৩৫ ও ২য় ইনিংসে ৩২ রান করেন।
লাল-সবুজের জার্সি গায়ে ৬টি টেস্ট ও ২৫টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছেন মানজারুল ইসলাম রানা।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫২ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০১৫