বিশ্বকাপের প্রথম কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচে বুধবার (১৮ মার্চ) বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ৯টায় বাঁচা-মরার লড়াইয়ে নামছে শ্রীলঙ্কা ও দক্ষিণ আফ্রিকা। সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত এ ম্যাচে উভয় দলেরই জয়ের শক্তি-সামর্থ্য রয়েছে।
ব্যাটিং-বোলিংয়ে সমান দাপট দুই দলের ক্রিকেটারদের। পেস অ্যাটাকে লঙ্কানদের প্রতিনিধিত্ব করবেন পেরেরা-কুলাসেকারা-মালিঙ্গারা। ডেল স্টেইন-মর্নি মরকেলদের সামলাতে হবে লঙ্কান ব্যাটসম্যানদের।
ব্যাটসম্যানদেরও রয়েছে সমান দাপট। সাঙ্গাকারা-দিলশান-জয়বর্ধনে লংকান ব্যাটিং লাইন-আপের স্তম্ভ। প্রোটিয়াদের রয়েছে হাশিম আমলা-ডু প্লেসিস-ডি ভিলিয়ার্সদের মতো তারকা ব্যাটসম্যান।
তবে একটি জায়াগায় এগিয়ে থাকবে দক্ষিণ আফ্রিকাই। মিডল অর্ডারের লেজটা খুব লম্বা প্রোটিয়াদের। ডেথ ওভারে রান তোলার জন্য ডি ভিলিয়ার্সের দলে রয়েছেন জেপি ডুমিনি ও ডেভিড মিলারের মতো মারকুটে ব্যাটসম্যান।
দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছেন লঙ্কান ব্যাটসম্যান কুমার সাঙ্গাকারা ও প্রোটিয়া দলপতি এবি ডি ভিলিয়ার্স। বিশ্বকাপে টানা চার সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে অনন্য কীর্তি গড়েছেন সাঙ্গাকারা। বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ রান স্কোরারও তিনি। ছয় ম্যাচে ১২৪ গড়ে ৪৯৬ রান করেছেন এ বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। সাঙ্গাকারার চেয়ে একটু পেছনে রয়েছেন ডি ভিলিয়ার্স। সমসংখ্যক ম্যাচে ভিলিয়ার্স করেছেন ৪১৬ রান। তাই কালকের ম্যাচে দুই দলের এ দু’জন ব্যাটসম্যানই থাকছেন স্পটলাইটে।
গ্রুপ পর্ব থেকে শেষ আটে আসার ধারাতেও মিল রয়েছে দুই দলের। পুল ‘এ’ থেকে আসা শ্রীলঙ্কার ছয় ম্যাচে চার জয়ে পয়েন্ট আট। পুল ‘বি’ থেক দক্ষিণ আফ্রিকা দলও আট পয়েন্ট নিয়ে কোয়ার্টারে পা রাখে।
মুখোমুখি লড়াইয়েও দুই দলের সমান দাপট। ওয়ানডেতে দুই দল মুখোমুখি হয়েছে ৫৯ বার। এর মধ্যে শ্রীলঙ্কা জিতেছে ২৯ বার। আর দক্ষিণ আফ্রিকার জয় ২৮ বার। একটি ম্যাচ টাই ও একটি পরিত্যক্ত হয়েছে।
এর মধ্যে বিশ্বকাপেই দেখা চার বার। ১৯৯২ বিশ্বকাপে প্রোটিয়াদের হারিয়েছিল লঙ্কানরা। ১৯৯৯ বিশ্বকাপে ফিরতি দেখায় ৮৯ রানে জয় পায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ২০০৩ বিশ্বকাপে ডাক ওয়ার্থ লুইস মেথডে ম্যাচটি টাই হয়।
চতুর্থবার দেখা হয় ২০০৭ বিশ্বকাপে। গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে শ্বাসরুদ্ধকর সেই ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে এক উইকেটে হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। বুধবার ২০১৫ বিশ্বকাপে আবার দেখা হচ্ছে এ দু’দলের। হারলেই বিদায় নিতে হবে বিশ্বকাপ থেকে। তাই সর্বোচ্চ সামর্থ দিয়ে শিরোপার লড়াইয়ে টিকে থাকতে চাইবে দুই দলের খেলোয়াড়রাই। বিশ্বমঞ্চে ‘হাইভোল্টেজ’ এক লড়াই দেখার অপেক্ষায় সবাই।
এ ম্যাচে লঙ্কান দলে ফিরতে পারেন স্পিনার রঙ্গনা হেরাথ। অন্যদিকে ইনজুরি থেকে সেরে উঠেছেন দক্ষিণ আফ্রিকা ব্যাটসম্যান ফাঁফ ডু প্লেসিস। বুধবারের ম্যাচে দেখা যেতে পারে তাকে।
সম্ভাব্য একাদশ
দক্ষিণ আফ্রিকার দল: হাশিম আমলা, কুইন্টন ডি কক (উইকেটরক্ষক), ফাঁফ ডু প্লেসিস, রিলে রুশো/ফারহান বেহেদ্রিন, এবি ডি ভিলিয়ার্স (অধিনায়ক), ডেভিড মিলার, জেপি ডুমিনি, ভারনন ফিল্যান্ডার, ডেল স্টেইন, মর্নি মরকেল ও ইমরান তাহির।
শ্রীলঙ্কা দল
তিলকারত্নে দিলশান, লাহিরু থিরিমান্নে, কুমার সাঙ্গাকারা, মাহেলা জয়াবর্ধনে, অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজ (অধিনায়ক), কুশাল পেরেরা, থিসারা পেরেরা, দুসমান্থা চামিরা/সুরঙ্গা লাকমাল, শিকুজি প্রসন্ন, নুয়ান কুলাসেকারা ও লাসিথ মালিঙ্গা।
বাংলাদেশ সময়: ২২০০ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০১৫