বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ভারতের মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ। এনিয়ে উৎসাহ-উদ্দীপনার কমতি নেই দু’দেশের সমর্থকদের মধ্যে।
কিন্তু কী বলছে জ্যোতিষশাস্ত্র?
তবে প্রথমেই বলে রাখা ভালো, এ ম্যাচের ফলাফল অনেকটাই নির্ধারিত হবে বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মোর্তুজা ও ভারত অধিনায়ক মহেন্দ্র সিংহ ধোনির ভাগ্যের উপর।
খেলায় যে তুমুল লড়াই হবে তা গণনায় পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে। দুই প্রধানের নামের প্রথম অক্ষর শুরু ‘ম’ বা ইংরেজির ‘এম’ দিয়ে। নিউমোরলজির বিচারে ‘এম’ এর মান ৪। আবার এই দুই খেলোয়াড়ের পদবি শুরু ‘এম’ এবং ‘ডি’ দিয়ে। নিউমেরোলজির বিচারে ‘ডি’ এর মান ৪। অর্থাৎ সংখ্যাতত্ত্বের হিসেবে, দুই খেলোয়াড়ের নাম ও উপাধির যোগফল দাঁড়াচ্ছে ৮।
এর থেকে অনুমান করা যায় এই খেলায় লড়াই হবে সমানে সমান।
অন্যদিক থেকে বিচার করলে দেখা যাচ্ছে মাশরাফির জন্ম অক্টোবর মাসের ৫ তারিখ। অর্থাৎ, তার রাশি তুলা। আবার ধোনির জন্মদিন জুলাই মাসের ৭ তারিখ। অর্থাৎ, ধোনির রাশি কর্কট।
মাশরাফির রাশি-অধিপতি শুক্র আর ধোনির চন্দ্র। সেই দিক থেকে দেখতে গেলে মাশরাফি দিনের বেলায় কিছুটা সুবিধা পেলেও রাশি-অধিপতি চন্দ্র হওয়ায় বিশেষ সুবিধা পাবেন না ধোনি।
এবার আসি দুই দেশের নিউমেরিওলজিক গণনায়। বাংলাদেশের প্রথম অক্ষর ‘ব’ বা ইংরেজির ‘বি’। ‘বি’ শব্দের মান ২। অন্যদিকে ইন্ডিয়া শব্দের শুরু ‘আই’ দিয়ে অর্থাৎ, এর মান ১। সেই ক্ষেত্রে নিউম্যারিক বিচারে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ।
এবার দেখা যাক মার্চ মাসটি দু’দেশের ক্রিকেট দলের পক্ষে কেমন? মার্চ মাস বাংলাদেশে পক্ষে অতি শুভ। কারণ এই মার্চ মাস বাংলাদেশের স্বাধীনতার মাস। এই মাসেই জন্ম নিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু।
শুধু তাই নয়, ২০০৭ সালের এই মার্চ মাসের তৃতীয় সপ্তাহে ভারতের বিরুদ্ধে জয়লাভ করেছিল বাংলাদেশ। আবার খেলা হতে চলেছে মার্চ মাসের তৃতীয় সপ্তাহেই। এই দিক থেকেও বাংলাদেশের ক্রিকেট দলের জন্য দিনটি শুভ।
২০০৭ সালের যে দিন বাংলাদেশ ক্রিকেট দল ভারতের বিরুদ্ধে জয় পেয়েছিল সেই দিনটির সঙ্গে আগামী ১৯ তারিখের আরও একটি নিউমেরিক্যাল বা সংখ্যাতাত্ত্বিক মিল রয়েছে। ২০০৭ সালের সেদিন ছিল ১৭ তারিখ। ১৭ মার্চ ও ১৯ মার্চ দু’টি তারিখই বিজোড় সংখ্যা এবং দু’টি তারিখই মৌলিক সংখ্যা।
এবার দেখা যাক অক্ষাংশের বিচারে বাংলাদেশের অবস্থান। বাংলাদেশ ২৩ .৭০ ডিগ্রি উত্তর এবং ৯০.৫৫ ডিগ্রি পূর্বে অবস্থিত। যেখানে ভারত ২০ ডিগ্রির উত্তর এবং ৭৮ ডিগ্রি পূর্বে অবস্থিত।
খেলা হচ্ছে মেলবোর্নে। মেলবোর্নের অক্ষাংশ ৩৭.৮০ ডিগ্রি দক্ষিণ এবং ১৪৪.৯৫ ডিগ্রি পূর্ব। অর্থাৎ, যা বাংলাদেশের সঙ্গে বেশি মেলে। এর সুফল পাবে বাংলাদেশ। এই তথ্যের ভিত্তিতে আরও বিশ্লেষণ করে পাওয়া যায় যে, পূর্ব দিক থেকে বাংলাদেশ খেলা শুরু করলে তাদের পক্ষে বেশি শুভ হবে।
এই জন্য ‘টস’ জেতা জরুরি। খেলার শুরুটাই খেলার ফলাফল নির্ণয়ে প্রভাবক হবে।
তবে একথাও ঠিক পরিসংখ্যান ও ক্রিকেটীয় বিশ্লেষকদের বিচারে শক্তিমত্তায় ঢের এগিয়ে ভারত। তবে বাংলাদেশের পক্ষে জ্যোতিষ-গণিতের বিচারে শুভ লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। খেলা যেহেতু একটা দীর্ঘ সময়ের ব্যাপার, সেজন্য সমসাময়িক সময়ে গ্রহের পরিবর্তনের প্রভাব পড়ে। এছাড়া প্রতিটি খেলার সঙ্গে যুক্ত ২২ জন খেলোয়াড়ের ভাগ্যও খেলার ফলাফলকে প্রভাবিত করে।
সবশেষে বলা যায়, জ্যোতিষশাস্ত্রের বিচারে খেলার আগেই বাংলাদেশ যে ভারতের চেয়ে কিছুটা এগিয়ে সেটা স্পষ্ট।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩০ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০১৫