ঢাকা: বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার কোয়ার্টার ফাইনালের আম্পায়ারিং নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। বিশেষত রুবেল হোসেনের বলে রোহিত শর্মা তার ব্যক্তিগত ৯০ রানে ক্যাচ তুলে দিলেও ওই বলকে ‘নো’ ডাকায় এ ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে।
বয়সে প্রবীণ হলেও আম্পায়ারিংয়ে নবীন (১৯তম ম্যাচ) ইংলিশ ইয়ান গোল্ড পাকিস্তানি আলিম দারের প্ররোচনায় রুবেলের ফুল টস বলটিকে ‘নো’ ডেকে বসেন। এতে ৯০ রানে ক্যাচ তুলে নির্ঘাত আউট হয়েও ব্যাটিং করে যাচ্ছেন শর্মা।
‘নো‘ কল করা বলটি রিপ্লে দেখার পর টুইটারে ফক্স স্পোর্টস ক্রিকেট জানায়, সিদ্ধান্তটি ভুল ছিল। এই সিদ্ধান্তের বিষয়ে টিভি ভাষ্যকারদের মুখেও সমালোচনা শোনা যায়।
এর আগে, মাশরাফির বলে সুরেশ রায়নার এলবিডব্লিউর একটি সিদ্ধান্তও নাকচ করে দেন ইয়ান গোল্ড। বাংলাদেশ রিভিউ নেওয়ার আগে সেটি আউটের সিদ্ধান্ত দিলেও দিতে পারতেন গোল্ড।
আম্পায়ারদের এ ধরনের সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করে অনেক ক্রিকেটভক্ত আইসিসির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেছেন। অনেকে এক কাঠি সরেস হয়ে আইসিসির পূর্ণরূপ বলছেন, ‘ইন্ডিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল’। অনেকে টাইগারদের হতাশ না হতে বলেছেন, তোমরা আমাদের মন জিতে নিয়েছো। এতো প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে জয়ের দরকার নেই।
এম এ ইসলাম আরেফিন নামে এক ফেসবুক ব্যবহারী লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের জন্য যে কোনো প্রতিপক্ষকে হারানো অসম্ভব নয়.. কিন্তু এক ম্যাচে একই সঙ্গে ভারত, পাকিস্তান, ইংল্যান্ড ও আইসিসিকে হারানো সম্ভব কি?’
বাজে সিদ্ধান্তে রোহিত ৯০ রানে বেঁচে গিয়ে সেঞ্চুরি করার পর সাইফ আল ইসলাম সিদ্দিক নামে একজন ফেসবুকে লিখেছেন, আম্পায়ার সেঞ্চুরি করিয়ে দিয়েছে।
রোহিতের শতকের পর আলোহা আফসানা নামে আরেকজন লিখেছেন, প্রতারণা, প্রতারণা ছাড়া পারতো না।
রোহিতের ব্যাপারে এ সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করেন ভারতীয় সাবেক ক্রিকেটার ভিভিএস লক্ষ্মণও। তিনি টুইটারে বলেন, এটা গোল্ডের বাজে সিদ্ধান্ত ছিল। এই বল কখনোই কোমরের উপরে ছিল না। রোহিতের ভাগ্য সুপ্রসন্ন। এটা ভারতকে অতিরিক্ত ২০ রান পেতে সহায়তা করতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৬ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০১৫
** পক্ষপাতদুষ্ট আম্পায়ারদের কুশপুতুল দাহ