ঢাকা: ফেভারিট দলের তকমা নিয়ে প্রতিবার বিশ্বকাপ মিশন শুরু করে দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু নকআউট পর্বে এসেই কেমন যেন হাপিত্যেশ উঠে যায় দলটির।
বর্নবৈষম্যের কারণে দীর্ঘদিন ক্রিকেট থেকে নির্বাসিত ছিল দক্ষিন আফ্রিকা। ১৯৯২ সালে বিশ্বকাপ দিয়ে ফের পর্দাপন করে দলটি। সেই আসরেই সেমিফাইনালে ওঠে প্রোটিয়ারা। ১৯৯৯ ও ২০০৭ বিশ্বকাপেও সেমিফাইনাল খেলে বিদায় নেয় তারা।
তবে এবার শেষ দেখতে চায় দক্ষিণ আফ্রিকা। নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে ফাইনালে যেতে চায় তারা। এখানেই থামতে চায় না তারা; ২৯ মার্চের ফাইনাল খেলে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ জয়ও করতে চান প্রোটিয়া অধিনায়ক এবি ডি ভিলিয়ার্স।
সোমবার ম্যাচপূর্ব সাংবাদিক সম্মেলনে দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক ডি ভিলিয়ার্স আত্মবিশ্বাস নিয়ে বলেন, ‘এবার আমরা বিশ্বকাপ ঘরে তুলতে চাই। আমাদের দলের আত্মবিশ্বাস তুঙ্গে। বিশ্বকাপ জয়ের এটাই মোক্ষম সময়। আমরা যদি সেরাটা দিতে পারি তাহলে এই টুর্নামেন্টে (বিশ্বকাপ) আমাদের থামানোর কেউ থাকবে না। ’
বিশ্বকাপে এ পর্যন্ত ছয় বার মুখোমুখি হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা ও নিউজিল্যান্ড। এর মধ্যে চারবার জিতেছে নিউজিল্যান্ড। বিশ্বকাপের শেষ তিন বারের দেখায় জয় ব্ল্যাকক্যাপসদের।
বিশ্বকাপ পরিসংখ্যানে নিউজিল্যান্ড এগিয়ে। পেছন ফিরে তাকাতে চান না প্রোটিয়া দলপতি। ২০১৫ সালে তার দল কেমন করছে-এটাকেই মূখ্য মনে করছেন ডি ভিলিয়ার্স। ‘আমরা যদি ভালো ক্রিকেট খেলতে পারি তাহলে অবশ্যই শীর্ষে যাওয়া সম্ভব। দলের সামর্থ্য সম্পর্কে আমরা অবগত-বলেন ভিলিয়ার্স।
মঙ্গলবারের সেমিফাইনাল ম্যাচ নিয়ে ডি ভিলিয়ার্স বলেন, ‘অনেক পরিশ্রম করে আমরা এ পর্যায়ে এসেছি। তবে আগামীকালের ম্যাচের জন্য আমাদের দল খুব উৎসাহী এবং প্রানবন্ত। ’
অকল্যান্ডের ইডেন পার্কে মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) বাংলাদেশ সময় সকাল ৭টায় বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনালে মুখোমুখি হবে দুই দল। প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলার হাতছানি দুই দলের সামনেই।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৮ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০১৫