ঢাকা: বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ৩২৯ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হলেও ভারতের ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় লজ্জাজনক পরাজয় বরণ করতে হয়েছে দলটিকে। ব্যর্থ ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সবচেয়ে দৃষ্টিকটূ আউট ছিল কথিত ‘নয়া লিটল জিনিয়াস’ বিরাট কোহলির।
৭৬ রানে প্রথম উইকেটের পতনের পর ক্রিজে এসে মূল্যবান ১৩ বল নষ্ট করে একটি মাত্র রান করে সাজঘরের পথ ধরেন কোহলি। সেমিফাইনালের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে তার এ দায়িত্বহীনতাকে কোনোভাবেই মানতে পারছেন না ভারতীয় ক্রিকেট সমর্থকরা।
কেবল কোহলির দায়িত্বহীনতাকেই দোষ দিয়ে ক্ষ্যান্ত হচ্ছেন না তারা। অনেকে কয়েক কাঠি সরেস হয়ে অভিযোগের তোপ দাগছেন কোহলির বান্ধবী আনুশকা শর্মার গায়ে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর বলছে, লাস্যময়ী অভিনেত্রী আনুশকা বৃহস্পতিবারের (২৬ মার্চ) এ ম্যাচ সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে উপস্থিত হয়েই দেখতে এসেছিলেন প্রেমিক কোহলিসহ ভারতীয় দলকে উদ্বুদ্ধ করতে।
কিন্তু উদ্বুদ্ধ হওয়ার পরিবর্তে যেন ভেঙেই পড়লো ভারতীয় ব্যাটিং লাইনআপ। বিশেষত মিশেল জনসনের বলে ব্র্যাড হাডিনের হাতে ক্যাচ দিয়ে কোহলি চরম ব্যর্থতার প্রতীক হয়ে সাজঘরের পথ ধরলে নিন্দা-সমালোচনার তীর আসতে থাকে ২৬ বছর বয়সী আনুশকার দিকে।
কোহলি-আনুশকাসহ ভারতীয় দলকে নিয়ে লেখার অযোগ্য গালাগাল শুরু হয় ফেসবুক-টুইটারসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে।
কৃপা শর্মা নামে এক ক্রিকেটভক্ত টুইটারে লেখেন, ‘আমি জানতাম, আনুশকার সিডনিতে আগমন একটা খারাপ ধারণা’।
জিটি নামে একজন লেখেন, ‘সিডনিতে সেমিফাইনাল দেখতে এসে আনুশকা তার জীবনের সবচেয়ে বড় ভুলটি করলেন। আব পুরা দেশ নেহি মাফ করনেওয়ালা!’
ফেসবুকে বিকাশ পত্র নামে আরেকজন হিন্দিতে লেখেন, ‘তাকে সিনেমায় নিয়ে নাও আনুশকা’।
রাহুল শেঠি নামে একজন আনুশকার গ্যালারিতে বসে হাত নাড়ানোর ছবি দিয়ে লিখেছেন, ‘আনুশকার হাত নাড়া দেখে কোহলি বোধ হয় ভেবেছিলেন, তাকেই ডাকছেন থার্টথ্রব নায়িকা!’
বিদ্যা সাগর নামে একজন লিখেন, ‘বিরাট যখন ব্যাট করতে নামছিলেন, তখন তাকে ৫ মিনিটের মধ্যে ফেরত যেতে বলেছেন আনুশকা’।
অনেক ফেসবুক-টুইটার ব্যবহারকারী আনুশকার ভাগ্যকেও দোষারোপ করেন সেমিতে হারার জন্য।
যদিও কয়েকজন একা বিরাট কোহলিকে দোষ না দিয়ে এ পরাজয়ের জন্য পুরো ভারত দলকেই দায় নেওয়ার কথা বলেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৫ ঘণ্টা, মার্চ ২৬, ২০১৫